অসমে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দলে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। টিকিট না পাওয়ায় দলের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে হোজাইয়ের বিতর্কিত নেতা শিলাদিত্য দেবকে বিজেপি ধরে রাখতে পারলেও প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা শিলচরের বিদায়ী বিধায়ক দিলীপ কুমার পালকে ধরে রাখতে পারল না। শিলাদিত্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ার থেকে সরে এলেও দিলীপ পাল কিন্তু লড়ছেনই।এবারে হোজাই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে রামকৃষ্ণ ঘোষকে।
বিদায়ী বিধায়ক শিলাদিত্য দেবকে এই কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন শিলাদিত্য। তিনি দলীয় সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর শিলাদিত্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া ও বিজেপির শীর্ষ নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। এরপরই কিছুটা চিড়ে ভেজে। নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন শিলাদিত্য। তিনি জানান, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কংগ্রেস–এজেইউডিএফ জোট সুবিধা পেয়ে যাবে। এই কেন্দ্রে আজমলের দলের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনি কংগ্রেসকে সুবিধা করে দিতে চান না্। বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, শিলাদিত্য দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করবে।
তবে শিলচর কেন্দ্রে অবশ্য অন্য চিত্র ধরা পড়েছে। এখানকার বিদায়ী বিধায়ক অবশ্য দলের ওপর যথেষ্টই রুষ্ট। প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পালকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। এই কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে দীপায়ন চক্রবর্তীকে, যিনি শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়ের ঘনিষ্ঠ। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেই বিদায়ী বিধায়ক বলেন, ‘আমি সাংসদ ও তার ঘনিষ্ঠ দীপায়ন চক্রবর্তীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে্ছিলাম। তাই আমাকে টিকিট দেওয়া হল না। বিজেপিতে কী ঘটছে, এটা সবাই জানে। এখানকার মানুষ চায় আমি ভোটে দাঁড়াই। তাদের ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েই আমি ভোটে লড়ব।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে অবশ্য সর্বানন্দ সোনেওয়ালের ক্যাবিনেটের আর এক মন্ত্রী সাম রোংহ্যাং বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি এবার কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন।