পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডেই হেরে ‘রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যান’-এর কথা শোনা গিয়েছিল শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের গলায়। সেই বক্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বাম নেতৃত্বকে। এই পরিস্থিততে এবার হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুর বদল করলেন অশোকবাবু। আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে এবার তিনি দাবি করলেন, পুরভোটে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে ভোট নিজেদের পকেটে পুড়েছে তৃণমূল। অশোকবাবু কথায়, ‘বিজেপি যত না করেছে, তৃণমূল তার চেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেছে পুরভোটে।’ নাম নিয়ে এই প্রেক্ষিতে অশোকবাবুর নিশানায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অশোকবাবু বলেন, ‘এ বারের পুরনির্বাচনে তৃণমূলই বিজেপি-র মতো কাজ করেছে। বিভিন্ন ধর্মগুরু, ইমাম, নেপালি আর মতুয়া সম্প্রদায়কে উস্কে দিয়ে তাদের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়েছে তৃণমূল। আমি যে ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখানকার প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম ভোট গিয়েছে তৃণমূলে, নয়ত আমার হারার কথা ছিল না। কেউ ভাবেনি আমাদের এই ফল হবে।’
এর আগে অশোকবাবু বলেছিলেন, ‘গত লোকসভা এবং বিধানসভায় যে ভোট বিজেপি-তে গিয়েছিল, তা বামেদের ঘরে ফিরে আসবে বলে আশা করেছিলাম আমরা। কিন্তু আমাদের কাছে আসার বদলে তা তৃণমূলের কাছে গিয়েছে।’ তবে সেই তত্ত্ব ভুলে এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে অশোকবাবু বলেন, ‘ভোটের আগে এক মন্ত্রী এখানে এসে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে নিয়ে গিয়েছেন। ধর্মের নামে ভোট না হলে নিজের ওয়ার্ড থেকে কখনওই হারতাম না আমি।’ উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি পুরভোটের প্রচারে আসা অরূপ বিশ্বাস যাতে শিলিগুড়ি ছাড়েন, এই দাবিতে কমিশনে গিয়েছিলেন অশোকবাবু। সেই সময় তিনি সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগই তুলেছিলেন। এদিকে অশোকবাবু এই নয়া ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে গৌতম দেব বলেন, ‘আমরা সব মানুষের কাছে গিয়েছি। তৃণমূলকে জাতপাতের ভোট করে জিততে হয় না। তাঁরা যত ভুল ব্যাখ্যা করবেন, তত দল নীচের দিকে যাবে।’