বাম জমানার পর এই জঙ্গলমহলে জোড়াফুলের বীজ বপণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখানে পদ্ম ঝড় বয়ে যায়। বিধানসভা নির্বাচনেও এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এই আবহে তৃণমূলের কাছে জঙ্গলমহলের পুরসভাগুলিতে বোর্ড গঠন করা সম্মানের লড়াই। অপরদিকে বিজেপির কাছেও এটা প্রেস্টিজ ফাইট। অন্যদিকে বামেদের কাছে এই পুরভোট ছিল হারানো জমি ফিরে পাওয়ার লড়াই। এদিকে পূর্ব বর্ধমানে মোট ৬টি পুরসভা আছে। বীরভূমের ৬টি পুরসভার মধ্যে ভোট হয় ৫টিতে। বীরভূমের যে'কটি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে, তারও বেশ কটিতে বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে আগেই।
কোন জেলায় কোন কোন পুরসভা তৃণমূলের দখলে
ঝাড়গ্রামে ১টি (ঝাড়গ্রাম), পুরুলিয়ায় ২টি (পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর), বাঁকুড়ায় ৩টি (বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী) পুরসভায় জয়ী তৃণমূল। তাছাড়া পশ্চিমের বীরভূমে ৬টি পুরসভার পাঁচটি - সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর; এবং পূর্ব বর্ধমানের ৬টি (কালনা, কাটোয়া, দাঁইহাট, মেমারি, গুসকরা, বর্ধমান) পুরসভায় জয়ী তৃণমূল। আরও জেলার ফল জানতে ক্লিক করুন এখানে
নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন
জয় লাভের পরেই ঝালদা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে |
ঝালদা দখল তৃণমূলের
ঝালদায় কংগ্রেসের লড়াই সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত দুই নির্দলকে দলে টেনে পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই পুরসভায় পাঁচটি করে আসনে জিতেছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। ১২ ওয়ার্ড বিশিষ্ট পুরসভায় জিততে প্রয়োজন ছিল সাতটি ওয়ার্ড।
দাঁইহাটায় সবুজ ঝড়
পূর্ব বর্ধমান জেলায় দাইঁহাটায় সবকটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস
মেমারিতে এগিয়ে তৃণমূল
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস
ঝাড়গ্রামে একটি ওয়ার্ডে জয়ী বাম
ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জয় পেলেও এই পুরসভায় একটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে বাম, বিজেপি এখানে শূন্য
ঝাড়গ্রাম পুরসভা তৃণমূলের
১৮ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট ঝাড়গ্রাম পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস
সিউড়িতে এগিয়ে তৃণমূল
সিউড়ির সবকটি আসনে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস
বর্ধমানে তৃণমূল ঝড়
বর্ধমানে ৩৫টির মধ্যে সবকটিতেই এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস
রঘুনাথপুরে দুটি করে আসনে এগিয়ে বিজেপি, কংগ্রেস
রঘুনাথপুরে ২টি ওযার্ডে এগিয়ে বিজেপি, দুটিতে এগিয়ে কংগ্রেস। এই পুরসভায় বাকি সব ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।
কাটোয়ায় ৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে কংগ্রেস
কাটোয়ায় ১৫টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ৪টিতে এগিয়ে কংগ্রেস, একটিতে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।
রঘুনাথপুর পুরসভায় পরপর ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের
পুরুলিার রঘুনাথপুর পুরসভার ৩,৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়ী।
ঝালদা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেসের
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস জয়ী।
সিউড়ি-রামপুরহাটে তৃণমূলের রমরমা
সিউড়ি পুরসভায় ২১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৫টি তে নির্বাচন হয়। এদিকে রামপুরহাট পুরসভায় মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮। এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়লাভ করেছে ৫টিতে। গত রবিবার এখানে ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৩ টি ওয়ার্ডে।
সাঁইথিয়ায় ১৪টি ওয়ার্ডে আগেই ওয়াকওভার পেয়েছে তৃণমূল
সাঁইথিয়া পুরসভার ২৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল।
বোলপুর পুরসভায় ১০টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল
বোলপুর পুরসভায় মোট ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। বাকি ১২টি আসনে গত রবিবার ভোটগ্রহণ হয়। এখানে তৃণমূলের বোর্ড গঠন কার্যত নিশ্চিত।
দুবরাজপুরে ৫টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের
দুবরাজপুরে ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ১১ টি আসনে নির্বাচন হয় গত রবিবার।
বীরভূমে ৬টি পুরসভার মধ্যে ৫টিতে ভোটগ্রহণ হয়
বীরভূমে ৬টি পুরসভার মধ্যে ৫টিতে ভোটগ্রহণ হয় গত রবিবার। নলহাটি বাদে সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুরে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ধমানের কোন পুরসভায় কটি ওয়ার্ড?
আয়তনে ১৪.৬৮ বর্গ কিলোমিটার বড় মেমারি পুরসভায় মোট ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। অপরদিকে কাটোয়ায় রয়েছে ২০টি ওযার্ড। বর্ধমানের অন্যতম পুরসভা দাঁইহাটায় রয়েছে ১৪টি ওয়ার্ড। তাছাড়া বর্ধমানে ৩৫টি, গুসকরায় ১৬টি এবং কালনায় মোট ১৯টি ওয়ার্ড রয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬টি পুরসভায় ১১৯ টি ওয়ার্ড
পূর্ব বর্ধমানে মোট ৬টি পুরসভা রয়েছে - বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া, মেমারি, দাঁইহাটা, গুসকরা। ২০১৫ সালে এই পুরসভাগুলোতে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬টি পুরসভা মিলিয়ে মোট ১১৯ টি ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হয় গত রবিবার।
ঝাড়গ্রাম পুরসভা
ঝাড়গ্রাম জেলায় একমাত্র পুরসভা ঝাড়গ্রাম। ২১.৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পুরসভার জনসংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে রাজনৈতিক দিক দিয়ে এর গুরুত্ব অনেকখানি। ২০১৯ সালে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়া ঝাড়গ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে আস্থা দেখায় তৃণমূলে। গত পুরনির্বাচনে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮ টি সিটের ১৭ টি আসনই দখল করেছিল তৃণমূল। এবং ১ আসন ছিল বামেদের দখল। এর আগে লোকসভায় ঝাড়গ্রামের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির কুনার হেমব্রম। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে জেতেন তৃণমূলের প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা। এই আবহে বিজেপি, তৃণমূল, বাম, তিন পক্ষই এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করছে।
সোনামুখী পুরসভা
বাঁকুড়া জেলার তিনটি পুরসভার অন্যতম হল সোনামুখী। ১৮৮৬ সালে ঘটিত সোনামুখী পুরসভায় মোট ওয়ার্ড রয়েছে ১৫টি। এই পুরসভায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ৪৮।
বিষ্ণুপুর পুরসভা
১৮৭৩ সালে গঠিত বিষ্ণুপুর পুরসভায় মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৯। এই পুরসভায় মোট প্রার্থীদের সংখ্যা ৮২ জন। এই পুরসভায় বিজেপি ও তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই বিষ্ণুপুরের সাংসদ বিজেপির সৌমিত্র খাঁ।
বাঁকুড়া পুরসভা
১৮৬৫ সালে গঠিত বাঁকুড়া পুরসভায় মোট ২৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ৯১ জন প্রার্থী এই পুরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বাঁকুড়া জেলার তিনটি পুরসভা
বাঁকুড়া জেলার তিনটি পুরসভা – বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী মিলিয়ে মোট ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই তিনটি পুরসভাই গঠিত ১৯ শতকে। ২০১৯ সালে বিজেপি এই জেলায় জমি শক্ত করলেও বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টেছে। এই আবহে সবকটি পুরসভাতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালদা পুরসভা
রঘুনাথপুরের মতোই ঝালদা পুরসভাও গঠিত হয়েছিল ১৮৮৮ সালে। আয়তনে তুলনামূলক ছোট ঝালদা। এই পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই পুরসভায় বিজেপি ও তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
রঘুনাথপুর পুরসভা
১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রঘুনাথপুর পুরসভায় মোট ১৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। রঘুনাথপুর পুরএলাকার আয়তন ১২.৯৫ বর্গ কিলোমিটার।
পুরুলিয়া পুরসভা
পুরুলিয়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুরসভা পুরুলিয়া সদর। মোট ২৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। জঙ্গলমহল তথা রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল পুরুলিয়া। পুরুলিয়া পুর এলাকার মোট আয়তন ১২.৬৩ বর্গ কিলোমিটার। এই পুরসভায় বিজেপি ও তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
পুরুলিয়া জেলায় তিনটি পুরসভা
পুরুলিয়া জেলায় তিনটি পুরসভা – পুরুলিয়া, ঝালদা, রঘুনাথপুর মিলিয়ে মোট ৪৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। পুরুলিয়ার তিনটি পুরসভাকেই গ্রিন সিটি মিশনের আওতায় আনা হয়েছে।
জঙ্গলমহলের তিন জেলায় মোট ৭টি পুরসভা
জঙ্গলমহলের তিন জেলা – পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া মিলিয়ে মোট ৭টি পুরসভা রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২৬টি ওয়ার্ড রয়েছে।