তপন–অসিত আকচা–আকচিতে সরগরম হুগলি, কোন্দল আছড়ে পড়ল নেটপাড়ায়

এখানে কান পাতলে শোনা যায়, অসিত মজুমদার বনাম তপন দাশগুপ্তের গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত।

তৃণমূল কংগ্রেস। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)

পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তেতে উঠল হুগলি জেলার রাজনীতি। তবে শাসক–বিরোধীর মধ্যে নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ক আর এক বিধায়ককে কটাক্ষ করেছেন বলেই তুঙ্গে চর্চা। সপ্তগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। যেখানে চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাল্টা নেটমাধ্যমে জবাব দিয়েছেন অসিতবাবুও।

ঠিক কী ঘটেছে হুগলিতে?‌ একটি ২২ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও–তে তপন দাশগুপ্তকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, চুঁচুড়া শহরে বিধায়ক আছে, কিন্তু কাজ করে কে? তপন দাশগুপ্ত। ৯০ শতাংশ লোক আমার কাছে আসেন। কারণ হুগলি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলাম আমি। আপনাদের আশীর্বাদে।’ কয়েকদিন আগে বাঁশবেড়িয়ায় পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে সূত্রের খবর। পাল্টা অসিত মজুমদার বলেন, ‘এটা আমার দলের ব্যাপার। যা হয়েছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। বাকিটা মানুষ বুঝবে।’

এখানে কান পাতলে শোনা যায়, অসিত মজুমদার বনাম তপন দাশগুপ্তের গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। সেটাই এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে। আর ওই ভিডিও শেয়ার করে ফেসবুকে অসিত মজুমদার লিখেছেন, ‘একটা পাগল আর ছাগল আছে চুঁচুড়ায়। তার কথা শুনুন।’ অর্থাৎ সরাসরি দলীয় কোন্দল রাস্তায় নেমে এসেছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছেন, কেউ নিজেদের মধ্যে লড়াই করবেন না। ঐক্যবদ্ধ হযে কাজ করতে হবে।

তপন–অসিতের সম্পর্ক মধুর ছিল ২০১৯ সালে। একুশের নির্বাচনে দু’জনই পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এখন পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সম্পর্ক তলানিতে। দলের অনেকে ধরে নিচ্ছেন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সম্পর্ক আর ভালো নেই তাঁদের। কিন্তু এইরকম আকচা–আকচি চলতে থাকলে পুরসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।