বেতন বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা মেটানো সহ একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন আশা কর্মীরা। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশা কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগেই নিজেদের দাবি দাওয়া আদায় নিয়ে বেঁকে বসলেন আশাকর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিলেন। আশাকর্মীদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁদের দাবি দাওয়া মেটাতে হবে। তবেই তারা ভোটের কাজে অংশগ্রহণ করবেন। না হলে তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি থেকে বিরত থাকবেন ।
আজ শুক্রবার ভোটের ডিউটি বয়কটের ডাক দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলার আশা কর্মীদের সংগঠন। এদিন জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আশা কর্মীরা বর্ধমান শহরের টাউন হল প্রাঙ্গণে জমায়েত করে নিজদের দাবির কথা জানিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিল শেষে তাঁরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। আশা কর্মীদের দাবি, তাঁদের নির্দিষ্ট হারে বেতন দিতে হবে, ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে, এপ্রিল মাস থেকে বকেয়া ভাতার টাকা দ্রুত মেটাতে হবে। এই বকেয়ার সমস্ত টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন আশা কর্মীরা। তাছাড়া, ছয় মাসের বকেয়া মোবাইল রিচার্জের টাকাও দিতে হবে।
আশা কর্মীদের দাবি, সাড়ে চার হাজার টাকায় তাঁদের দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো হচ্ছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া, ভোট, খেলা, মেলা, পরীক্ষা, দুয়ারে সরকারের ডিউটি তাঁদের দেওয়া যাবে না। নিম্নমানের ন্যাপকিন বিক্রির মতো ব্যবসায়িক কাজও করানো যাবে না। অন্যদিকে, করোনার সময় আক্রান্ত কর্মীদের জন্য ঘোষিত এক লক্ষ টাকা এখনও মেটানো হয়নি। দ্রুত তা মিটিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আশাকর্মীরা। গুরুতর কোন অসুস্থতার কাজে যেতে না পারলে ভাতা কাটা যাবে না বলেও দাবি জানান আশা কর্মীরা।
তাঁদের আরও দাবি, আশা কর্মীদের দিয়ে কফ নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা চলবে না। গতবছর দুর্গাপুজোর ছুটির জন্য যে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অবিলম্বে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে আশা কর্মীদের মর্যাদা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও আশা কর্মীদের অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, তাঁদের ১০ হাজার টাকা দামের ফোন দেওয়ার কথা ছিল তা এখনও দেওয়া হয়নি। তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সমস্ত দাবি নিয়ে আজ পূর্ব বর্ধমান জেলা আশা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। জেলার সিএমওএইচকে ঘেরাও করেন আশাকর্মীরা। আশা কর্মীদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না করা হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ডিউটি থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন।