আর তো মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই পঞ্চায়েত ভোট দিতে যাবেন বঙ্গবাসী। তার আগে অনেকেরই চিন্তা তবে কি ২০১৮ ফিরবে ২০২৩ এর ৮ জুলাই। আবার কি সেই রক্তগঙ্গা? দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীও এসেছে জেলায়। তবে ভোট কর্মীদের একাংশ এদিন দুরু দুরু বুকেই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন। তবে শুক্রবার রাতে জেলায় জেলায় একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা। দিনহাটায় এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ বলে খবর। অন্য়দিকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ধারলো অস্ত্রের আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
এবার ভোট প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি দিকগুলি একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
তবে সবার আগে জেনে নিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিস্থিতি। কারণ তাঁরাই তো অনেকের কাছে ভরসার জায়গা। সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য় আবেদন করেছিল কমিশন। সেটাও আদালতের নির্দেশে। মোটামুটি যেটা জানা গিয়েছে, ১-২ বুথ যেখানে রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ জন সদস্য থাকবেন। আবার ৮জন জওয়ান থাকবেন যেখানে ৩-৪ টি বুথ রয়েছে। ১২জন জওয়ান থাকবে যেখানে বুথের সংখ্য়া ৫-৬টি। ৭ বা সাতের অধিক যেখানে বুথ রয়েছে সেখানে ১৬জন জওয়ান মোতায়েন করা থাকবে।
এবার রাজ্যজুড়ে কোন জেলায় কতগুলি বুথ রয়েছে ও তার মধ্য়ে স্পর্শকাতর বুথ কোনগুলি সেটা একবার দেখা যাক।
জেলা মোট বুথ স্পর্শকাতর বুথ
আলিপুরদুয়ার- ১২১২ ২৫
কোচবিহার ২৩৮৫ ৩১৭
দার্জিলিং- ৫১৪ ২৭
জলপাইগুড়ি ১৬৬০ ৭৪
কালিম্পং ২৬৩ ৮
মালদা ৩০০৫ ২৭০
দক্ষিণ দিনাজপুর ১২২৩ ৮৪
উত্তর দিনাজপুর ২১২৬ ১০৮
এটা হল উত্তরবঙ্গের ছবি। এবার দক্ষিণবঙ্গের ছবিটা দেখা যাক।
জেলা মোট বুথ স্পর্শকাতর বুথ
বাঁকুড়া- ৩১০০ ১১৬
বীরভূম ২৭৬৮ ২২৮
হুগলি ৩৮৫১ ২০৯
হাওড়া ৩০৩১ ৩৫০
ঝাড়গ্রাম ১০৪৫ ৪৫
মুর্শিদাবাদ ৫৪০৮ ৫৪১
নদিয়া ৩৮৯৬ ৩৭৩
উত্তর ২৪ পরগনা ৪৫৩২ ২৫৮
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৬২২৬ ৫০২
পুরুলিয়া ২৪০৫ ২৫০
পূর্ব মেদিনীপুর ৪১২৮ ৩০৫
পশ্চিম মেদিনীপুর ৩৮৬৭ ৩০৫
পূর্ব বর্ধমান ৩৯৩৩ ৩৪২
পশ্চিম বর্ধমান ৯৯৮ ৪০
পরিসংখ্যান বলছে এবার ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে ১০৪৩টি বুথে ভোট হচ্ছে না। মাত্র ৮ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে রাতেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ফের অশান্তি। বোমাবাজি। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্য়ে তুমুল সংঘর্ষ। তৃণমূল কর্মী বাবর আলির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অপর একজন জখম হয়েছেন বলে খবর।