সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস যেন সাহায্য চাইতে না আসে। এই কথাটি খুব গায়ে লেগেছে অধীর চৌধুরীর। কিন্তু রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আদালতে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিকে লড়াই করতে দেখা যায়। এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। অধীররঞ্জন চৌধুরী চাইছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চাযেত নির্বাচন হোক। এই নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এবং মনের মতো রায় পেয়েছিলেন। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই মামলায় যাতে সিংভি যুক্ত না হন তার জন্য আগাম সক্রিয় হয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে জানিয়েছেন অধীর বলে সূত্রের খবর।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই আবহে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী খাড়গের কাছে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ আদালতে যেন রাজ্যের হয়ে সওয়াল না করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। কারণ এখানে সন্ত্রাস চলছে। মুর্শিদাবাদ–চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালকে বিষয়টি জানিয়েছেন অধীর।
অন্যদিকে ইডি–সিবিআই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে অভিষেক মনু সিংভিকে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে রাজ্যে কংগ্রেসের মধ্যে মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র পাল্টায়নি। তাঁর নামে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে নালিশ করেও কিছু হয়নি। তাই এবার আগাম আর্জি জানিয়ে আখলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তবে আইনজীবী সিংভির বারবারই যুক্তি দেন, পেশাদার আইনজীবী হিসেবে তিনি কোন মামলা লড়বেন সেটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
ঠিক কী বলছেন অধীর? সুপ্রিম কোর্টে সিংভি মামলা লড়তে পারেন বলে খবর পেয়েছেন অধীরবাবু। তাই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সিংভি এই মামলায় লড়বেন কি না আমি জানি না। তবে আমরা একটা খবর পেয়েছি। সেটার ভিত্তিতে দিল্লির নেতৃত্বকে যা জানাবার জানিয়েছি। যদি উনি এমন মামলায় লড়েন, তা হলে আমাদের কাছে অত্যন্ত বিড়ম্বনার কারণ হবে বলেই দিল্লিকে বলেছি।’ আর পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘একদন পেশাদার আইনজীবী হিসেবে কেউ কোনও মামলা লড়তেই পারেন। রাজ্য সরকার কাকে আইনজীবী করবে সেটা সরকারের এক্তিয়ারের বিষয়। আর কংগ্রেস কী করবে সেটা তাদের দলের বিষয়।’