পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার মধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে গিয়ে নালিশ ঠুকেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জরুরি তলব করেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিলেন না রাজীব সিনহা। তাই বৈঠক যখন হবেই না তখন নিজেই পরিস্থিতি বিচার করে দেখতে ক্যানিং রওনা দিলেন বড়লাট।
আজ, শনিবার নিজের সমস্ত সূচি বাতিল করে ক্যানিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন রাজ্যপাল। মনোনয়নপত্র জমাকে ঘিরে ক্যানিংয়ে তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাই ওখানকার এলাকা পরিদর্শন এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলবেন রাজ্যপাল। এদিন রাজভবনে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন–পর্বকে কেন্দ্র করে যে হিংসা ঘটেছে সে বিষয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিয়ে নালিশ করেন সুকান্ত। বিরোধীদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই গিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। কেন সুপ্রিম কোর্টে গেল কমিশন তা জানতে চেয়ে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দিলেন না রাজীব সিনহা। গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড় পরিদর্শনে করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হিংসার বিবরণ শোনেন। সেখানে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দেন রাজ্যপাল। এরপরই আজ, শনিবার রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করা হয়। সেখানে তিনি আজ আসতে পারছেন না বলে জানাতেই ক্যানিং রওনা দিলেন তিনি।
ঠিক কী কথা হল দু’পক্ষের? অন্যদিকে এই তলবের বেশ কিছুক্ষণ পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে টেলিফোন করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। টেলিফোনে রাজীব সিনহা রাজ্যপালকে বলেন, ‘নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় আজ যেতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ততা রয়েছে। পরে কোনও একদিন সময় চেয়ে নিশ্চয়ই দেখা করে আসবেন।’ সেই সাক্ষাতের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে রাজীব সিনহা আজ না যাওয়ায় রাজ্যপাল সব কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিং চলে গেলেন। এরপরের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সবাই। প্রথম থেকেই নির্বাচন বিষয়ে সমস্ত খবর রাখছেন রাজ্যপাল।