পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন–পর্বেই জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তার জেরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড়ে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এবার ক্যানিং যাবেন বলে সূত্রের খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে নাকি হবে না সেটা এখন আদালত ঠিক করবে। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জরুরি তলব করেছেন রাজীব সিনহাকে। এই পরিস্থিতিতে এবার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের ২০টি জেলায় ২০ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এদিকে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলছেন প্রত্যেক জেলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যদিও বহু ক্ষেত্রেই সাংগঠনিক দুর্বলতার জেরে প্রার্থী দিতে পারেননি বিরোধী দলগুলি। ফলে সেসব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজ, শনিবার থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা জেলাভিত্তিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নজরদারির কাজ করতে শুরু করবেন। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাইল জেলাগুলির কাছ থেকে। সেই তালিকা ধরেই এই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা কাজ করবেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? মুড়ি–মুড়কির মতো পড়েছে বোমা, চলেছে গুলি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ভাঙড়, ক্যানিং, চোপড়া, মুর্শিদাবাদে রক্ত ঝরেছে। মারা গিয়েছে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারদের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০টি জেলায় ২০ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়োগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের জানাতে পারবেন তাঁরা। এমনকী বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম–মোবাইল নম্বর–সহ বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের।
ঠিক কী করা হয়েছে? রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার স্পর্শকাতর এলাকা, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠাল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকার তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবারের মধ্যেই সেই তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই তালিকার উপর নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের স্ট্র্যাটেজি। এমনকী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুথভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক তালিকা চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রে খবর। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি’র সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বৈঠক হয়েছে।