হাতে আর ১০ দিন সময় বাকি রয়েছে। তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন–পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহে নেমেছে কংগ্রেস। কারণ প্রচার থেকে শুরু করে নির্বাচনের যাবতীয় কাজের জন্য টাকা নেই রাজ্য কংগ্রেসের হাতে। তাই আর্থিক সাহায্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করছেন কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ এখন কংগ্রেস সরাসরি বামেদের সঙ্গে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে এককও লড়ছে কতগুলি জায়গায়। এই অবস্থায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে জেলার নানা প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতাদের। যদিও তাদের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ সংগঠন শক্তিশালী থাকলে এভাবে চাঁদা তুলতে হতো না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর জেলা থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফাঁকা চেকের ছবি দিয়ে আর্থিক সাহায্য চাইছে বলে খবর। কংগ্রেস এখন সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে নেমে পড়েছে। তাই তাঁদের সঙ্গে এঁটে উঠতে এখন অনেকটা টাকা দরকার। তাই এই অর্থ সংগ্রহ বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে বরাবরই মানুষের কাছে হাত পেতে বামেরা টাকা চাইত এই দৃশ্যই দেখা গিয়েছে। সেখানে এবার কংগ্রেসকে তহবিল সংগ্রহের কাজে নামতে দেখা গেল। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করলেও তৃণমূল ও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস। ঠিক কী লেখা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়? প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা আবেদনে লিখছেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আপনাদের সাধ্যমতো আর্থিক অনুদান দিন। আমরা তৃণমূল এবং বিজেপির মতো সাধারণ মানুষের টাকা মেরে দল করি না। আমরা দল চালাই নেতা–কর্মীদের সাহায্য নিয়ে।’ কিন্তু কংগ্রেস সর্বভারতীয় পার্টি। তাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়তে মানুষের কাছে হাত পাতবে এটা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: পুলিশ–সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর, ধুন্ধুমার কাণ্ড সোদপুরে
ঠিক কী বলছেন কংগ্রেস নেতারা? এই আর্থিক সাহায্য চাওয়া নিয়ে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না কংগ্রেস নেতারা। এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কংগ্রেস বহুদিন ক্ষমতায় নেই। আমরা প্রয়োজন পড়লে মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য চাই। জনগণের সাহায্য ছাড়া কোনও কিছুই তো সম্ভব নয়। কংগ্রেসের কোনও নেতার ঘর থেকে টাকার পাহাড় বেরচ্ছে না। তাই কংগ্রেসকে এভাবে লড়তে হচ্ছে। এটা প্রয়োজনভিত্তিক একটা আবেদন।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠনের জেলা সভাপতি শাহনাওয়াজ বেগম বলেন, ‘এটা তো সিপিএমের সংস্কৃতি। যা এবার কংগ্রেস রপ্ত করেছে। এসব করে ভোটের বাজারে লাভ হবে না।’