রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু রাজভবনে বসে বিবৃতি দিয়েই তিনি বিরত থাকছেন এমনটা নয়। সরাসরি হিংসা কবলিত এলাকায় চলে যাচ্ছেন তিনি। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সেখান থেকেই কড়া বার্তাও দিচ্ছেন তিনি। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে ভরসা পাচ্ছেন অনেকেই।
শনিবার ক্যানিংয়ে হিংসা কবলিত এলাকায় যান রাজ্যপাল। সেখান থেকেও শান্তি ফেরাতে, ভোটে গণতন্ত্র ফেরাতে সবরকম উদ্যোগ নিলেন রাজ্যপাল। এদিন এক মহিলা রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি। আপনাকে এখন অভিযোগ করছি। রাতে কী হবে জানি না।
তবে বরাবরই ইংরেজিতে বিবৃতি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু এদিন ক্য়ানিংয়ে গিয়ে কিছুটা অন্যরকম হল। তিনি ইংরেজির মাঝেই কিছুটা বাংলা শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ছাড়ব না, ছাড়ব না, হবে না হবে না। এরপর বাকিটা ইংরেজিতেই বলেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে এ ধরণের গুণ্ডাগিরি চলতে পারে না। যে কোনও মূল্য়ে হোক তা দমন করতেই হবে।
রাজ্যপাল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, যে সব এলাকায় হিংসার ঘটনা হয়েছে তার দু একটা পকেটে ঘুরে দেখেছি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁরা হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। যে পুলিশ আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যা দেখলাম তাতে স্তম্ভিত। এই ধরণের হিংসার ও গুন্ডামির ঘটনা কীভাবে চলতে পারে। বিষ্মিত রাজ্যপাল।
সেই সঙ্গেই রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর নিজের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, আমি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। কোথাও মানুষ আক্রান্ত হলে আমাকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। ভয়হীনভাবে যাতে বাংলার মানুষ ভোট দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করব। জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি যেখানে ছিলেন সেখান থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয় বোমা। সেখানে গিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর যাওয়ার রাস্তায় আইএসএফ কর্মীরা একেবারে হাত জোড় করে তাঁকে অভিবাদন জানান। আর শনিবার ক্যানিংয়ে গেলেন রাজ্যপাল। সেখানেও তিনি স্থানীয়দের নানাভাবে আশ্বস্ত করান। হিংসার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন। তবে এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, নো ওয়ার্ড ওনলি অ্য়াকশন। সাংবাদিক বৈঠক থেকে উঠে যাওয়ার মুহূর্তে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন অ্য়াকশন নেওয়া হবে? নীরব ছিলেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল যেভাবে সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।