পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। আজ বিকেল পর্যন্ত তা চলবে। এই নির্বাচন চলাকালীন রবিবার দিনই রাজ্যের সব বিধায়ককে তলব করা হল। কারণ রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সব বিধায়কদের বিধানসভায় তলব করেছে। কারণ আগামী ১২ জুলাই রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বলে সূত্রের খবর। রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষের পর যে আসনগুলিতে নির্বাচন হবে তার জন্যই এই তলব।
এদিকে আগামীকাল, রবিবার বিধানসভা ভবন খোলা রাখা হচ্ছে। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে সব বিধায়ককে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কারণ রাজ্যসভার ভোটে বিধায়কদের ভোটের প্রয়োজন হয়। আর এই নির্বাচনের মনোনয়ন ১২ জুলাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের ঠিক পরদিন। তবে রবিবার বিধানসভায় বিধায়কদের আসতে বলার কারণ হল, রাজ্যসভা প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে স্বাক্ষর করার জন্য। ওইদিন বিধানসভা ভবনে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তবে যাঁরা রবিবার আসতে পারবেন না, তাঁদের ১২ জুলাই সকালে আসতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আগামী ১৮ অগস্ট রাজ্যের ৬টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন। প্রথম পাঁচটি আসনে মেয়াদ ফুরাচ্ছে। তাই নির্বাচন হবে। আর ষষ্ঠ আসনে হবে উপনির্বাচন। কারণ গোয়ার লুইজিনহো ফেলেরিও মাঝপথে পদত্যাগ করেন। তাই সেই আসনে উপনির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও সব আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। তবে প্রাথমিক একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এখন একটা সংখ্যালঘু মুখ খুঁজছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘দরকার পড়লে পুনর্নির্বাচন হবে’, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে বড় মন্তব্য রাজীব সিনহার
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে সুস্মিতা দেব এবং শান্তা ছেত্রী বাদ পড়ছেন বলেই সূত্রের খবর। আর সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেনরা আবার মনোনয়ন পাচ্ছেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। নতুন মুখ কারা আসবেন সেটা এখনও গোপন রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক কথা হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে রবিবারই প্রার্থী চূড়ান্ত হতে পারে। আর ষষ্ঠ আসনে চমক থাকছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। বিজেপি রাজ্যসভায় মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।