হাতে আর বাকি ১০ দিন। তারপরই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৮ জুলাই ভোট হওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। মনোনয়ন–পর্ব শেষ করেই সবাই প্রচারে ঝড় তুলছে। বিজেপিও নানা সভা–সমাবেশ করছে। কিন্তু সেই প্রচারে কোনও হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রী নেই। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে তাঁরা একসঙ্গে আসছেন না। তবে তারিখ এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাওয়া গরম করতে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা আদালত এবং রাজভবনের উপর বাড়তি নির্ভর করছেন। কিন্তু প্রচারে সেই তেজ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আবার মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তাই বঙ্গ–বিজেপির পরিকল্পনা ছিল এই দলীয় কর্মসূচিতে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডাকে নিয়ে সভা করিয়ে পালে হাওয়া টানতে। কিন্তু তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বঙ্গ–বিজেপির উপর বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বুঝতে পেরেই আর বাংলায় তাঁরা আসার উৎসাহ দেখাননি বলেই সূত্রের খবর। বরং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার দলীয় নেতাদের নিয়েই লড়াই করতে হবে। সুতরাং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় আসবেন না। তাতে ভুল বার্তা যাবে। স্থানীয় স্তরের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আসতে হচ্ছে—এই বার্তা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই আসছেন না তাঁরা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পরই রাজ্যে আসবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এবার সরাসরি গ্রামবাসীর মাথা ফাটালেন বিজেপি প্রার্থী, গ্রেফতার হলেন চন্দ্রকোণায়
তাও কবে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা? অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন আসবেন তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাবে। সুতরাং দলের ফলাফল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণও করা যাবে। তখন যদি দেখা যায় ফলাফল খারাপ হয়েছে তাহলে কড়া ধমকও দেওয়া যাবে। কারণ প্রমাণ হয়ে যাবে গ্রামবাংলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা। এই আবহে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর সময় হয়ে যাবে। বাংলার বিজেপি সাংসদদের নয়াদিল্লিতে পাড়ি দিতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় আসবেন বলে সূত্রের খবর।