পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকালই জানিয়েছিলেন তিনি আদালতে যাবেন। এই আবহে আজ গণনা চলাকালীনই উচ্চ আদালতে মামলার আবেদন করেন শুভেন্দু। তাঁর দায়ের করা মামলার আবেদন গৃহীত হয়েছে হাই কোর্টে। আগামিাল এই মামলার শুনানি হতে পারে। আবেদনে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি জানিয়েছিল, ৬০০০ বুথে পুনর্নির্বাচন প্রয়োজন। সঙ্গে অনিয়মের প্রমাণ দেওয়া হয়েছিল। ভিডিয়ো জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ৬০০০ বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। শুধু তাই নয়, যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে, সেগুলি তাদের তালিকায় ছিল না। এই আবহে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই আবহে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন শুভন্দু। (পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
এদিকে আজকে পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিনও হিংসার পরিচিত চিত্র রাজ্য জুড়ে। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক টুইট করেন শুভন্দু অধিকারী। আজ টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, 'গণনার দিনেও পুরোদমে চলছে ডায়মন্ড হারবার মডেল। তৃণমূলের গুন্ডারা এজেন্ট এবং প্রার্থীদের বাধা দিয়ে নির্বাচন চুরি করার শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে। বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি গণনা হলে প্রবেশ করতে পারছে না। তাদের ১ থেকে ২ কিলোমিটার দূর থেকেই গণনা কেন্দ্রের দিকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর জন্য বোমা ছোড়া হচ্ছে। তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে, এমনকি অপহরণও করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: 'মৃত্যু হবেই, তবে একতরফা নয়', পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন হুমকি দিলীপ ঘোষের
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, 'ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজ, কেশপুর কলেজ, গলসি, কাটোয়া, আমতা, বাগনান, বারাবানি, কিরনাহার সহ আরও বহু জায়গায় কাউন্টিং এজেন্ট এবং প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উচিত, অবিলম্বে গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। আগে নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত বিরোধী গণনা এজেন্ট এবং প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে গণনা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছতে সক্ষম হবেন। তারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালেই কেবল গণনা প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।' প্রসঙ্গত, আজ কোথাও হয়েছে বোমাবাজি। কোথাও আবার প্রার্থীকেই অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই আবহে আদালতে গণনার দিনের ঝামেরা উল্লেখও করেছেন শুভেন্দু।