অনুব্রত মণ্ডল নেই। তারই মধ্যে বীরভূমে এবার অনুষ্ঠিত হল পঞ্চায়েত নির্বাচন। কেষ্টর নেতৃত্বে যেভাবে জেলা 'ক্লিন সুইপ' হত, সেটা হয়ত এবার হবে না, তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এবারও জেলায় আধিপত্য বজায় থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসেরই। তবে এরই মধ্যে ভোটের পরে অশান্ত হয়ে উঠল বীরভূম। বোমাবাজিতে জখম হল এক নাবালক। এদিকে সেই ঘটনায় জখম হয়েছেন চার তৃণমূল সমর্থকও। ঘটনাটি ঘটেছে পাইকর থানা এলাকার কুতুবপুরে। জখম নাবালককে পাইকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। (পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে)
জানা গিয়েছে, শনিবারের ভোট নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল রবিবার সন্ধ্যায়। দুই দলের কর্নী সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কথা বলছিলেন। তবে সেই আলোচনা ক্রমেই বিতর্কে পরিণত হয়। তারপর শুরু হয় হাতাহাতি। এরপর ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরপর এলাকায় পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে বোমাবাজির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপ করা হয়। এদিকে ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ।
এদিকে দাবি করা হয়, যখন বোমাবাজি হচ্ছিল, তখন চার নাবালক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যেই একজন জখম হয় বোমাবাজিতে। বাকি তিন নাবালকের অবশ্য কিছু হয়নি। এদিকে বোমাবাজিতে চার তৃণমূল সমর্থক জখম হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। তাজা বোমা উদ্ধরের জন্যও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশি বাহিনী টহল দেয় পাইকরে।
এদিকে বীরভূম জেলার ১৪টি বুথে অনুষ্ঠিত হবে পুনর্নির্বাচন। সিউড়ি-১, খয়রাশোল, ময়ূরেশ্বর-১, ময়ূরেশ্বর-২, দুবরাজপুর, মুরারই-১ এলাকার বুথে আজ ফের ভোটগ্রহণ হবে। তবে পুনর্নির্বাচনের আগে নতুন করে বীরভূমে অশান্তি ছড়াল। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ছিল বীরভূম। অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীন তাও পরিস্থিতি সামাল দিতেন তিনি। তাও বগটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে এই বীরভূমে। তবে কেষ্ট জেলে যাওয়ার পরই বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠনের বাঁধন কিছুটা আলগা হয়েছে। জেলায় তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে জমি হয়ত সরেনি। তবে গড়ে কিঞ্চিৎ চিড় ধরেছে। সেই ইঙ্গিত মিলেছে এবিপি এবং সি-ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষায়। দাবি করা হচ্ছে, বীরভূমের জেলা পরিষদের মোট ৫২টি আসনের মধ্যে এবার তৃণমূল পেতে পারে ৩৪ থেকে ৪৪টি। আগেরবার সবকটি আসনই পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এদিকে এবার বিজেপি পেতে পারে ছ'টি থেকে ১২টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক পাঁচটি আসন।