মাস ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে, এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার নিয়ে এল কড়া বার্তা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ বার্তায় জানানো হয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে।
রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একাধিক অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। এদিকে, সদ্য রাজ্যের নির্বাচন কমিশনেের কমিশনার পদে আসীন হয়েছেন রাজীব সিনহা। সদ্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজীব সিনহার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে কথা বলেছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইস্যুতে। এদিকে, সোমবার নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থী যিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন, তাঁকে জানাতে হবে কারণ। জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার বা চাপ দিয়ে নাম তুলে নিতে বাধ্য করার বিষয়ে নানান অভিযোগ উঠছে। এরপরই কমিশনের তরফে এই বড় নির্দেশ আসে।
রাজ্যে আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটপর্ব শুরু হতে চলেছে। তার আগে সদ্য ঘোষিত হয়েছে ভোটের নির্ঘণ্ট। এদিকে, ৯ জুন শুক্রবার থেকে রাজ্যে চলছে মনোনয়ন গ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় মনোনয়ন ঘিরে নানান সংঘাতের ছবি উঠছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করারও অভিযোগ সামনে আসছে। মনোনয়ন জমা দেওয়া ৯ জুন থেকে শুরু করে ১৫ জুন পর্যন্ত হবে। এরমধ্যে রবিবার ছুটির দিনটি বাদ রয়েছে। ফলে মোট ৬ দিন হাতে সময় রয়েছে প্রার্থীদের। এদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য এই ৬ দিন পর্যাপ্ত সময়কাল নয় বলে দাবি কর, একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোট ইস্যুতে যে মামলাকারীরা দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যের শাসকদলের বিরোধী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এছাড়াও রয়েছেন এক আইনজীবী। সোমবারই সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ও টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে হয়েছে এর শুনানি।