গুজরাট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের আগে গুরুতর অভিযোগ রাহুল গান্ধীর গলায়। কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করলেন, কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক এবং বানাসকাঁথা জেলার দান্তা আসনের দলীয় প্রার্থী কান্তিভাই খারাদি নিখোঁজ হয়েছেন। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস প্রার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে। ঘটনার পর থেকেই কান্তি নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘কংগ্রেসের আদিবাসী নেতা এবং দন্তা বিধানসভার প্রার্থী কান্তিভাই খারাদিকে বাজেভাবে মারধর করেছে বিজেপির গুন্ডারা। বর্তমানে তিনি নিখোঁজ।’ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাহুল। রাহুলের অভিযোগ, আগেই আধাসেনা মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছিল। রাগার অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন এখনও ঘুমিয়ে। এদিকে বিজেপির উদ্দেশে বার্তা দিয়ে রাহুল বলেন, ‘বিজেপির শুনে নেওয়া উচিত - আমরা ভীত নই, আমরা ভীত হব না, আমরা দৃঢ়ভাবে লড়াই করব।’
উল্লেখ্য, দান্তা তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত একটি আসন। কংগ্রেসের কান্তিভাইয়ের বিরুদ্ধে লাটুভাই পারঘিরকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। এদিকে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এবং দলের বানাসকাণ্ঠ জেলার ইনচার্জ জিগনেশ মেভানি অভিযোগ করেছেন যে দলের পরাজয়ের ভয়ে বিজেপি গুন্ডাদের মাধ্যমে কান্তিভাই খারাদিকে আক্রমণ করেছে। টুইট বার্তায় মেভানি লেখেন, ‘বানাসকাণ্ঠেক দান্তা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী কান্তিভাই খারাদি ভোটের আগের রাতে বিজেপির গুণ্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তাদের পরাজয়ের ভয়েই বিজেপি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এভাবেই কি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে?’
মেভানি আরও লেখেন, ‘দান্তা আসনের কংগ্রেস বিধায়ক কান্তিভাই খারাডির উপর বিজেপি প্রার্থী ও তার গুন্ডাদের হামলা। তাঁর চার চাকার গাড়ি আটকে কান্তিভাইকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। এরপর থেকেই কান্তিভাই খারাদি নিখোঁজ।’ হামলার আশঙ্কার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে এর আগে একটি চিঠিও লিখেছিলেন কান্তিাই খারাদি। তাঁর লেখা সেই চিঠিও পোস্ট করেছেন মেভানি।