গত ১ ও ৫ ডিসেম্বর দুদফায় ভোট হয়েছে গুজরাটে। কিন্তু কত শতাংশ ভোট পড়েছে সব মিলিয়ে? পরিসংখ্যান বলছে এবার ১৮২টি বিধানসভাক্ষেত্র মিলিয়ে ৬৪.৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ভোট পড়েছিল ৬৮.৪১ শতাংশ।সেক্ষেত্রে এবার ভোটদানের হার কিছুটা হলেও কমেছে।
৫ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, ৯৩টি আসনে ৬৫.৩০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আর ২০১৭ সালে এই একই বিধানসভা মিলিয়ে ভোটদানের হার ছিল ৬৯.৯৯ শতাংশ।
প্রথম পর্যায়ে ৮৯টি বিধানসভা মিলিয়ে মোট ৬৩.৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটদানের নিরিখে দেখা যাচ্ছে বনসকণ্ঠ ও সবরকণ্ঠ জেলায় সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটদানের হার যথাক্রমে ৭২.৪৯ শতাংশ ও ৭১.৪৩ শতাংশ।
এদিকে আমেদাবাদ জেলায় যেখানে ২১টি আসন রয়েছে সেখানে ভোটদানের হার সবথেকে কম মাত্র ৫৯.১০ শতাংশ। তবে কিছু জেলায় ভোটদানের অনেকটাই ভালো।
খেড়া(৬৮.৫৫ শতাংশ),পঞ্চমহল(৬৮.৪৪ শতাংশ) আনন্দ (৬৮.৪২ শতাংশ), আরাবল্লি(৬৭.৫৫ শতাংশ), গান্ধীনগরে ৬৬.৯০ শতাংশ ভোটের হার।
এদিকে ৮ ডিসেম্বর ভোট গণনা হবে গুজরাটে। সেক্ষেত্রে ভোটাের ফলাফল কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। হিসাব বলছে এবার ২০১৭ সালের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ ভোট কম পড়েছে গুজরাটে। ২০১৭ সালে বিজেপি ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবার কংগ্রেস জিতেছিল ৭৭টি আসন। ভোটদানের হার কমে যাওয়া কিসের ইঙ্গিত তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে।
দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, হার্দিক পটেল, জিগনেশ মেভানি, শঙ্কর চৌধুরী মুকেশ পটেল সহ একাধিক হাইপ্রোফাইল প্রার্থীর আসনে ভোট হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে গুজরাটে। বিজেপি, কংগ্রেস ও আপের মধ্যে পাল্লা কার দিকে ভারী হয় সেটাই দেখার।