আজ ৪ রাজ্যে ভোট গণনা চলছে। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে কংগ্রেস পিছিয়ে থাকলেও তেলেঙ্গানায় শাসকদল বিআরএস পার্টির থেকে এগিয়ে রয়েছে তারা। ভোট গণনা এখনও চলছে। তবে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এছাড়াও বহু আসনে এগিয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এবার যে কংগ্রেসই সরকার গঠন করতে চলেছে তানিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এই অবস্থায় শাসক দল বিআরএস নিজেদের পরাজয় স্বীকার করে নিল। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও দলের পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে জয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Election Results LIVE: ‘আপনারা ২০২৪ সালের ভাবছেন, মোদী ২০৪৭-র কথা ভাবছেন
কেটি রামা রাও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বিআরএস পার্টিকে টানা দু’বার ক্ষমতায় রাখার জন্য তেলাঙ্গানার জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আজকের ফলাফলে আমরা দুঃখিত নই। তবে অবশ্যই হতাশ। কারণ এরকম ফল আমাদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা এটিকে আমাদের শিক্ষা হিসাবে গ্রহণ করব এবং জয়ের জন্য কংগ্রেস পার্টিকে অভিনন্দন দেব। কংগ্রেসকে শুভকামনা জানাই।’ উল্লেখ্য, কেটিআর হলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও–এর ছেলে এবং বিএসআরএসের কার্যকারী সভাপতি। নির্বাচনে তিনি সিরসিলা কেন্দ্র থেকে লড়েছেন। যদিও সেখানে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ৮৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি সেই আসনটি ধরে রাখতে পারবেন কিনা সেটাই দেখার।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৬১টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস এবং ৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, বিআরএস ৩৩ আসনে জয়ী হয়েছে এবং ৬টিতে এগিয়ে রয়েছে। ফলে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করতে প্রস্তুত। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের অধীনে বিআরএস ১০ বছর ধরে তেলাঙ্গানা শাসন করেছে। তিনি কেসিআর নামেও পরিচিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৮৮ টি আসনে জয়ী হওয়ার পরে এবার হ্যাটট্রিকের আশা করেছিলেন বিআরএস। রাজ্যে রেভান্থ রেড্ডির নেতৃত্বে কংগ্রেস সেখানে এবার প্রচার চালিয়েছিল।তেলাঙ্গানা কংগ্রেসের জন্য একটি সান্ত্বনা জয় বলা যেতে পারে। কারণ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে হারতে চলেছে কংগ্রেস।