Sukanta on Abhishek's challenge:চোর আর শিক্ষক তো একসঙ্গে তর্ক করতে পারে না, অভিষেককে জবাব সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের সংস্কৃতিতে বলে, শ্রাস্তার্ধ বা যুক্তির লড়াই সব সময় সমকক্ষ লোকেদের মধ্যে হওয়া উচিত। চোর আর শিক্ষক তো একসঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না।

সুকান্ত মজুমদার ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র হিসাব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্ক আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার অভিষেককে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘চোর আর শিক্ষক কখনও একসঙ্গে বিতর্কে বসতে পারে না।’

সোমবার সুকান্তবাবুর লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সুকান্তবাবুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘আমি সুকান্তবাবুকে বলব, আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আরেকবার চ্যালেঞ্জটা ছুড়ে দিয়ে গেলাম। আপনি জায়গা ঠিক করুন, সময় ও সঞ্চালক ঠিক করুন, একদিকে আপনি থাকবেন, একদিকে আমি থাকব। এই তিন বছরে আবাস যোজনায় ১০ পয়সার শ্বেতপত্র আর ১০০ দিনেক কাজে ১০ পয়সার হিসাব বিজেপি দিতে পারে আমি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না’।

অভিষেকের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মঙ্গলবার সুকান্তবাবু বলেন, ‘বসা তো যায়ই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে বলে, শ্রাস্তার্ধ বা যুক্তির লড়াই সব সময় সমকক্ষ লোকেদের মধ্যে হওয়া উচিত। চোর আর শিক্ষক তো একসঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না। তাহলে তো শিক্ষকদের মান সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে’।

তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার অধিবেশনে একটি প্রশ্ন করেন, কেন পশ্চিমবঙ্গের ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করা হয়েছে? কত টাকা পশ্চিমবঙ্গের পাওনা রয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদে জানান, ‘২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে টাকা পাঠানো বন্ধ রয়েছে’। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ২০২১ সালের মে মাসে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক পয়সাও পাঠায়নি কেন্দ্র।