উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের এক বিজেপির প্রার্থীর বয়স ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, ওই বিজেপি প্রার্থীর বয়স ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৫ বছর বেড়েছে। বিজেপি প্রার্থীর নাম ঠাকুর বিশ্বদীপ সিং। ১০ বছরের জায়গায় কীভাবে ১৫ বছর বাড়ল বয়স? তাই নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। এই অবস্থায় নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ দেশের সম্পদ মুসলিমদের দেওয়ার কথা বলেছিলেন মনমোহন? মোদীর দাবির সত্যতা কতটা?
ফিরোজাবাদ কেন্দ্রের ওই বিজেপি প্রার্থী গত ১৮ এপ্রিল নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বর্তমান বয়স ৭৫ বছর। অথচ ২০১৪ সালে তিনি নির্বাচনে লড়েছিলেন। তখন হলফনামায় তিনি বয়স জানিয়েছিলেন ৬০ বছর। ফলে কীভাবে ১০ বছরের মধ্যে ১৫ বছর বেড়ে গেল বিজেপি প্রার্থীর বয়স? তাই নিয়ে তীব্র সমালোচনা সরব হয়েছে সমাজবাদী পার্টি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধীরা।
এবিষয়ে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) জেলা সভাপতি শিবরাজ সিং নির্বাচন কমিশনের সামনে বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনোনয়ন দাখিলের সময় বিজেপি প্রার্থী ঠাকুর বিশ্বদীপ সিংয়ের হলফনামায় দেওয়া ভুল তথ্যের বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা তাঁর মনোনয়ন বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।’
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নির্বাচন কমিশন উভয় পক্ষের যুক্তি শুনেছে। তবে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষেই রায় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হলফনামায় জানানো ৭৫ বছর বয়সের কথা স্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর আইনজীবী রাজেশ কুমার কুলশ্রেষ্ঠ এবং অলোক কুলশ্রেষ্ঠ এই বিষয়কে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তাদের যুক্তি ছিল, এর আগে মনোনয়ন ফর্মে জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল না। হলফনামায় উল্লেখ করা বর্তমান বয়স ৭৫ বছর সঠিক। নির্বাচনী আধিকারিক সমাজবাদী পার্টির আপত্তি খারিজ করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। ঠাকুর নিজেই তাঁর হলফনামায় তথ্যটি সঠিক ছিল বলে দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে বিএসপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ঠাকুর। পরে ২০২২ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবারের লোকসভায় বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছে। তাঁর প্রতিপক্ষ হিসাবে ফিরোজাবাদ থেকে লড়ছেন সমাজবাদী পার্টির অক্ষয় যাদব এবং বিএসপির চৌধুরী বশির।