রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আর তারপরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে তাহলে কি পদ্মফুলের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়াই করতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? কিন্তু আপাতত সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ নড্ডা যে সদস্যপদ ছেড়েছেন, সেটা নেহাতই রুটিন বিষয়। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আগেরবার হিমাচল প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভায় এসেছিলেন নড্ডা। এবার তাঁকে গুজরাট থেকে জিতিয়ে আনা হয়েছে। তাই নিয়মমাফিক তাঁকে হিমাচলের রাজ্যসভার পদ ছেড়ে দিতে হয়েছে। এরপর তিনি গুজরাট থেকে জিতে আসা সদস্য হিসেবে রাজ্যসভায় থাকবেন। অর্থাৎ একটি মহলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সেটার আপাতত কোনও ভিত্তি নেই বলে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য।
কী ছিল সেই জল্পনা?
অমিত শাহের ক্ষেত্রে যেমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেরকমই কোনও ব্লু-প্রিন্ট নড্ডার ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে একটি মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। ওই মহলের বক্তব্য ছিল, প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারে মন্ত্রী ছিলেন না শাহ। মোদীর ‘ডান-হাত’ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিজেপির সংগঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মোদী সরকারে তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আনা হয়। সেই পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে বিজেপির পূর্ণ সময়ের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন নড্ডা। রাজ্যসভার সদস্য হলেও তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। আর এবার শাহের পথে হেঁটে তাঁকে মন্ত্রী করার লক্ষ্য নিচ্ছেন মোদীরা?
আরও পড়ুন: Ananta Maharaj: 'ডাস্টবিন করে রেখেছে' লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অনন্ত মহারাজের তোপ
কিন্তু আপাতত সেরকম কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। নেহাতই রুটিন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজ্যসভার (হিমাচল) সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন নড্ডা। তবে মোদীরা চাইলে এখনও নড্ডাকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করতে পারেন। তাঁদের সামনে সেই সুযোগ আছে।
যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেটার সম্ভাবনা কার্যত নেই। কারণ কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভার নির্বাচন হয়েছে। বিজেপি যদি নড্ডাকে লোকসভা ভোটে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করত, তাহলে তাঁকে গুজরাট থেকে জিতিয়ে আনা হত না। আর মোদীরা যদি তাঁকে মন্ত্রী করতেও চান, তাহলে সেই সুযোগ তাঁদের সামনে থাকবে। ঠিক যেমন এখন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: Congress Leader Resigns: রামের কথা বলে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস নেতা, বাংলার পথে গুজরাট