সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে একের পর এক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে দল ছাড়ার একেবারে হিড়িক পড়ে গিয়েছ। এবার গুজরাটের এক পোড়খাওয়া কংগ্রেস নেতা দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে অর্জুন মধওয়াদিয়া নামে ওই কংগ্রেস নেতা চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বালক রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান যেদিন কংগ্রেস যোগ দিতে চায়নি সেদিনই আমি মুখ খুলেছিলাম। প্রভূ রাম শুধু হিন্দুদের পূজনীয় নন, তিনি ভারতের আস্থা। ওই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করার অর্থ হল ভারতের মানুষের আবেগকে আঘাত করা। এই দল দেশের মানুষের আবেগকে বুঝতে চায় না।
তিনি লিখেছেন, এই ঘটনার পরে অনেকেই আমায় বলেছিলেন যে কংগ্রেস ভারতের আবেগকে আঘাত করেছে। রাহুল গান্ধী অসমে গোলোযোগ পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন। গত কয়েক বছর ধরেই আমি কাজ করতে পারছিলাম না। এতে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছিলাম।
তিনি লিখেছেন চল্লিশ বছর ধরে কংগ্রেসে সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। গোটা জীবনটাই কংগ্রেসের জন্য দিয়ে দিয়েছি। আমি কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই নেতা।
আর ঠিক লোকসভা ভোটের আগেই ইস্তফা দিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। কার্যত কংগ্রেসে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ওই নেতা। তিনি বিজেপিতে যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে তিনি কংগ্রেসের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
এদিকে গুজরাট বরাবরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খাসতালুক বলে পরিচিত। সেখানে লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই ইস্তফা দিলেন পোড় খাওয়া কংগ্রেস নেতা। সেটাও আবার রামমন্দির সংক্রান্ত আবেগকে উসকে দিলেন তিনি।
এদিকে বাংলায় তৃণমূল ছেড়েছেন দীর্ঘদিনের নেতা তাপস রায়। তাপস রায় জানিয়েছেন, ‘২৪ বছর তৃণমূলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। অথচ ইডি অভিযানের ৫২ দিন পর একবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার খোঁজ নেয়নি। দল পাশে দাঁড়ায়নি। বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন। অথচ আমার বাড়িতে ইডি হানার কথা উল্লেখ করতেই পারতেন। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।’
এদিকে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংসদের টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করে আসরে নেমেছিলেন তাপস রায়। তার পর থেকেই তাঁর সম্পর্কে দলের ভিতরে–বাইরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তাপস সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, ‘ওরা যখন আমাকে বোঝাতে এসেছিল, তার মধ্যেই সুব্রত বক্সি শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন কুণালকে।