জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে রাজ্যে এক দফায় ভোট করার দাবি তুলল তৃণমূল। অন্য দিকে বিজেপির দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা যেন রাজ্য পুলিশের কথায় বিশ্বাস না করে। নির্ভয়ে যাতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানান বিজেপির প্রতিনিধিরা। কংগ্রেস গত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে যথোপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানায় কমিশনের কাছে। এছাড়া সিপিএম দাবি করে, রাজ্যের অভিযুক্ত পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের যেন ভোটের কাজে নিযুক্ত করা না হয়।
সোমবার সকাল নটা থেকে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রাজনৈতিক দলগুলির দাবি কী তা শোনা হয়। এদিন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আটটি রাজনৈতিক দল। কমিশনের কাছে তারা তাদের দাবির কথা জানায়।
তৃণমূলের পক্ষ ছিলেন, সুব্রত বক্সি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা একদিনে ভোট করা কথা বলছি। যদি বিজেপিশাসিত রাজ্যে একদিন ভোট হয়, তবে এ রাজ্য নয় কেন?' এই দাবির পাশাপাশি একাধিক ভোটার কার্ড নিষ্ক্রিয় হাওয়া নিয়েও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন। ‘শাহজাহানের জন্য উদ্বেগ, আর আমার…' ইডি হানার পর মমতা ভূমিকায় একরাশ অভিমান তাপসের
রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন, 'ভোট নিয়ে যে মানুষের মধ্যে ভয় তা দূর করতে হবে।' কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ভোট করার কথা জানিয়েছে, গেরুয়া শিবির।
এদিন সিপিএমের তরফে ভুয়ো ভোটার তালিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় কমিশনের কাছে।
আরও পড়ুন। কুণাল ঘোষকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস, তাপসের বাড়িতেই মিলল সেই চিঠি
কমিশনের তরফেও, ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে রাজনৈতিক দলগুলির কী কী করণীয়, কী কী কাজ করা যাবে না, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়। কমিশনের নিয়ম না মানলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। আজ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
আরও পড়ুন। আমায় অতটা বিশ্বাস করবেন না, মাথাকেও 'টাচ' করতে পারি, ‘পকেটমার’-কে তোপ মমতার