এবার খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ করল বিজেপি। জলপাইগুড়ির একটি সভায় সম্প্রতি একটি নির্দিষ্ট বাক্য বলেছিলেন মমতা। তারপরই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপির দাবি, জলপাইগুড়ির সভায় মমতা ভোটারদের হিংসায় প্ররোচিত করেছেন। এরপরই এনিয়ে কমিশনে নালিশ করে বিজেপি।
ঠিক কী বলেছিলেন মমতা? কীসের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন নেত্রী?
সূত্রের খবর জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে সম্প্রতি সভা করেছিলেন মমতা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বিজেপির কয়েকজন কর্মী চোর চোর স্লোগান দিয়েছেন। কমিশনকে বিজেপির দেওয়া চিঠি অনুসারে জানা গিয়েছে এই নির্দিষ্ট বিজেপি কর্মীদের প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, এত বড় সাহস। আমার গাড়ি দেখে বলছে, চোর চোর! সুযোগ থাকলে জিভটা কেটে নিতাম। ভোট বলে আমি কিছু বলিনি।
এরপরই এই তিনটি শব্দকে ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। এই ধরনের শব্দ মুখ্য়মন্ত্রী বলতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির দাবি, মমতার এই মন্তব্যের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিককে এই চিঠি দিয়েছে বিজেপি।
সামনেই লোকসভা ভোট। তপ্ত হচ্ছে বাংলা। সেই সঙ্গেই এবার রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও একের পর এক আগুন ঝড়ানো বক্তব্য রাখছেন। একদিকে যেমন প্রার্থীরা একে অপরকে নিশানা করে কটূ কথা বলছেন। তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরাও এনিয়ে বার বার নানা ধরনের বিষয়কে সামনে এনে এমন বক্তব্য রাখছেন তা কতটা শোভনীয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে কুকথায় কোনও অংশ কম যাচ্ছেন না বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষও। বুধবার দুর্গাপুরের সগড়ডাঙ্গা মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। আর সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, মন্ত্রীদের আক্রমণ করেন দিলীপ। নির্বাচন কমিশনকেও রেয়াত করেননি তিনি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে মেসো বলেছিলাম বলে ওদের পেট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন ওরা পুতুল বলছে সেটা ভাল লাগছে? কে কার পুতুল বোঝা যাবে। ওরা সকাল থেকে গালিগালাজ করেন রাজ্যপালকে। আর প্যাঁচে পড়লেই চাচা প্রাণ বাঁচা। এরা হচ্ছে শক্তের ভক্ত নরমের যম। যে টাইট দেবে তার কাছে গড়াগড়ি দেবে।’
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘জিভ টেনে ছিঁড়বেন? সেদিন চলে গিয়েছে। কিছুই ছিঁড়তে পারবেন না। এবার মানুষ যা করার সব করবে। জুতো, লাঠি, ঝাঁটা দেখাচ্ছে আপনাদের নেতাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাও শেষ জীবনে দেখতে হচ্ছে। পাপীদের নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। তাই অপমান সহ্য করতে হচ্ছে। উনি অবসর নিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলটাই বৃদ্ধাশ্রম হবে।’