ইভিএম নিয়ে নানা সময়ে নানা সংশয়ের কথা উল্লেখ করেন বিরোধীরা। তৃণমূল নেতৃত্ব বার বারই এনিয়ে নানা আপত্তির কথা তুলেছে। ব্য়ালটে ভোট করার পক্ষেও অতীতে বার বার সওয়াল করেছে তৃণমূল। কিন্তু এবার প্রশ্ন, কেন ইভিএম নিয়ে এত আপত্তি তৃণমূলের? তবে শনিবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দিলেন ইভিএম পুরো নিরাপদ। ১০০ শতাংশ নিরাপদ।
মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ইভিএম নিয়ে একটা প্রশ্ন আসবে সেটা তো আমি ভেবেই নিয়েছি। সেকারণেই রাতে আমি কিছু লিখে রেখেছি। সেটাই আপনাকে শোনাচ্ছি। সেখানে তিনি লিখেছেন,আমার উপর বার বার দোষ দেবেন না, এরপরই মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দেন এখানে আমি বলছি না। এটা ইভিএম বলছে। এরপর তিনি বলেন, নিজের উপর বিশ্বাস নেই, আর আমাদের উপর দোষ দেন। এরপরই তিনি জানিয়েছেন, এত কিছুর পরে যখন আপনাদের পক্ষে ফলাফল আসে, তখন কী বলবেন! এরপরই তিনি বেশ জোরের সঙ্গে বলে দেন, ইভিএম একেবারে ১০০ শতাংশ নিরাপদ।
ইভিএম নিয়ে বার বারই প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোথাও হেরে গেলেই তৃণমূল দাবি করে ইভিএম কারচুপির জেরে এই পরাজয়। আবার ইভিএমে ভোটদানের পরে যখন তৃণমূল কোথাও জিতে যায় তখন কেন সেই ইভিএমকে দোষারোপ করা হয় না সেটা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যায়। তবে ইভিএম যে ১০০ শতাংশ নিরাপদ এদিন আরও একবার জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
এদিকে মার্চ মাসের প্রথমেই কলকাতার ধর্মতলায় দলীয় নেতা - কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, ‘ইভিএম মেশিনটা চেক করবেন। ওদের প্ল্যান অনুযায়ী ২০টা জায়গায় না কি চিপ লাগাচ্ছে। যারা এজেন্ট হবেন, কাউকে কাউকে টাকা দিয়ে কিনেও নেবে। নজর রাখবেন ভালো করে।’
তবে মমতার এই ইভিএম আতঙ্ককে পালটা কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন তাঁর শেষ দিন সমাগত। তাই ভোটের আগে থেকেই হারের অজুহাত খাড়া করা শুরু করেছেন। সঙ্গে তিনি একথাও স্বীকার করেছেন যে, তিনি এমন এক দলের নেত্রী যার ভোটের এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায়। লাজ লজ্জা থাকলে এর পর আর কারও তৃণমূলে থাকা উচিত নয়।’
তবে ইভিএম যে ১০০ শতাংশ নিরাপদ এদিন আরও একবার জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।