২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারে তৃতীয় দফায় ৪ শতাংশ ভোট কম পড়ছে। তবে গত প্রথম ও দ্বিতীয় দফার তুলনায় তৃতীয় দফায় ভোটের হার বেড়েছে। একে নিজেদের সাফল্যই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। ভুয়ো, ভোটার কমা ও ছাপ্পা ভোট কমে যাওয়াতে এই সাফল্য এসেছে বলে তাদের দাবি।
কমিশনে দেওয়া চূড়ান্ত ভোটের হার অনুযায়ী, মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৬.০৩ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোটের হার ৭৬.৬৯ শতাংশ। জঙ্গীপুরে ভোটের হার ৭৫.৭২ শতাংশ। আগের দুটি দফার তুলনায় এই তিন কেন্দ্রে ভোটের হার বেড়েছে তিন শতাংশের কাছাকাছি। মুর্শিদাবাদে ভোটের হার পাঁচ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮১.৫২ শতাংশ।
কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের দুটি দফায় ভোট কমার অন্যতম কারণ ছিলে তীব্র গরম। তবে এবার গরমের হার কিছুটা হলে কম ছিল। তাই ভোটারারও ভোট দিতে বেরিয়েছেন। তবে ২০১৯-এর তুলনায় কম ভোট পড়ার কারণ হিসাবে তিনটি বিষয় রয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। কমিশনের এক আধিকারিকের কথা এই কারণ হল, ১) ভুয়ো ভোটাদের নাম বা দেওয়া। ২) ছাপ্পা ভোট কম পড়া এবং ৩) পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট দিতে না আসা।
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়ুন এখানে
ভুয়ো ভোটার বাদ
কমিশনের ওই আধিকারিক জানিয়েছে, বিরোধীদের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই ভুয়ো ভোটার রুখতে সক্রিয় হয় কমিশন। ঝাড়াই-বাছাই করে ভুয়ো ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ছাপ্পা ভোট কম
প্রথম থেকে ভোট রুখতে উঠেপড়ে লাগে কমিশন। পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে নিরাপত্তা জোরদার করা গিয়েছে। এছাড়া বুথে ভিডিয়ো ক্যামেরা ও অন্যান্য ব্যবস্থা রাখার ফলে ছাপ্পা ভোট তুলনায় অনেক কম পড়েছে।
আরও পড়ুন। আবার নতুন ভিডিয়ো ফাঁস, রাষ্ট্রপতির কাছে সন্দেশখালির ভুয়ো নির্যাতিতারা? সংশয়ে রেখা
আরও পড়ুন। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের, জমা পড়ল ভিডিয়ো
পরিযায়ী শ্রমিকদের না আসা
কমিশন মনে করছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা দেখে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভোট দিতে আসেননি। ফলে রাজ্যে ভোটের হার তার প্রভাব পড়েছে।
প্রথম দুটো কারণকে নিজেদের সাফল্য হিসাবেই দেখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।