সাত দফায় ভোট। তৃণমূলের এক দফায় ভোট হওয়ার দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সাত দফায় ভোটের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতোই বাংলাতেও হবে সাত দফায় ভোট।
এদিকে সাত দফায় ভোট নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নানা জনের নানা মত। তবে বাংলার শাসকদল তৃণমূল অবশ্য় এখনও দাবি করছে, এখনও গোঁ ধরে আছে যে এক দফায়, কিংবা নিদেনপক্ষে দুই দফায় ভোট হলেই ভালো হত। সাত দফায় কোনওভাবেই নয়।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দফাটা কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু তৃণমূল বহুক্ষেত্রে ভোট দিতে যেতে দেয় না। মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন সেটা দেখা দরকার।
অধীর চৌধুরী সাত দফায় ভোটের পক্ষে। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে আরও আগে থেকে মোতায়েন করা যায় সেব্যাপারে নিশ্চিত করতে চান অধীর। তিনি বলেন, যেভাবে রাজ্যে সন্ত্রাস চলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে একাধিক দফায় কড়া পাহারায় ভোট করানো দরকার। তবে ভোটের অনেকদিন আগেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেটা দেখা দরকার। এনিয়ে আমি আবার কমিশনকে বলব। এদিকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, এই ভোট হয়তো গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শেষ সুযোগ। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনিও বরাবরই শাসকদলের বিরুদ্ধ সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, কত দফায় ভোট হচ্ছে সেটা বিচার্য নয়। দেখতে হবে মানুষ নিরাপদে ভোট দিতে যেতে পারছেন কি না। নওশাদ সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন, …আমার মনে হচ্ছে যেভাবে এবার নির্বাচন কমিশন ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পক্ষপাতহীন ভোট করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে ভরসা পাচ্ছি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো আট দফায় ভোট হবে। সেই জায়গায় সাত দফায় ভোট হচ্ছে। তবে আশা করছি এবার বাংলার ভোটে গতবারের থেকে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্যে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়়া সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো সম্ভব নয়। ….সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, এবার তৃণমূল বুঝতে পেরেছে ওদের সময় খারাপ।
তবে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আমরা বলেছিলাম যে এক দফায় বা দু দফায় ভোট করতে। দফা বাড়লে ভোটার সংখ্য়ায় কমতি দেখা যাবে। সেকারণে বলেছিলাম একদফায় বা দু দফায় ভোট করতে। কিন্তু সাত দফায় ভোট হচ্ছে।