দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের সভা থেকে সিপিএমকে একেবারে খুল্লমখুল্লা আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘সিপিএম শুনেছি জলপাইগুড়িতে, আমাকে সাংবাদিকরা বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে তোমাদের ভোটটা ফরওয়ার্ড ব্লককে দেবে না, ভোটটা দিয়ে দাও বিজেপিকে। তাদের আপনারা ভোট দেবেন। কংগ্রেসও তাই। শুধু ভোট কাটার জন্য় দেখে দেখে দাঁড়িয়েছে। ভাবছে মুসলিম ভোটটা যদি ভাগ করা যায়, তাতে বিজেপি কংগ্রেসের ভোট নিয়ে, সিপিএম কংগ্রেসের ভোট নিয়ে আমরা যদি আবার জিতে যাই। ’
কার্যত সিপিএমকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজনৈতিক সমীকরণটা কোচবিহারে হলেও হতে পারে। কোচবিহার বরাবরই ফরওয়ার্ড ব্লকের গড়। কিন্তু বর্তমানে সেই কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের ক্ষমতা কার্যত তলানিতে। তবে বিগতদিনেও সিপিএমের সঙ্গে ফবর তীব্র শত্রুতা ছিল। এখনও সেই শত্রুতা কোনও অংশে কমেনি। সেক্ষেত্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বেশি ভোট পেয়ে যাক সেটা কোনওভাবেই চাইবে না সিপিএম। আবার তৃণমূল বেশি ভোট পেলেও সমস্যার। সেক্ষেত্রে পড়ে রইল বিজেপি।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার ভোটপর্বে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপি এবার কোচবিহারে ঘোষণা করেছিল, জেতার পরেই সিপিএমের বন্ধ পার্টি অফিস খোলার ব্যবস্থা করা হবে। তবে কি সিপিএমকে তার প্রতিদান দেবে বিজেপি?
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেভাবে সিপিএমকে নিশানা করেছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকের মতে, এর আগের লোকসভা ভোটে বামেদের ভোট রামের বাক্সে পড়েছিল বলে দাবি করা হয়। তবে কি এবারও সেই পদ্ধতিতেই বামেদের ভোটে সুবিধা পাবে গেরুয়া শিবির?
এনিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বাম বা বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাদের দাবি, এসব একেবারেই সত্যি কথা নয়। তবে সত্যি কথাটা ঠিক কী?
মমতা কিন্তু জানিয়েছেন, সিপিএম শুনেছি জলপাইগুড়িতে আমাকে সাংবাদিকরা বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে তোমাদের ভোটটা ফরওয়ার্ড ব্লককে দেবে না, ভোটটা দিয়ে দাও বিজেপিকে। তাদের আপনারা ভোট দেবেন। কংগ্রেসও তাই। শুধু ভোট কাটার জন্য় দেখে দেখে দাঁড়িয়েছে। ভাবছে মুসলিম ভোটটা যদি ভাগ করা যায়, তাতে বিজেপি কংগ্রেসের ভোট নিয়ে, সিপিএম কংগ্রেসের ভোট নিয়ে আমরা যদি আবার জিতে যাই।
তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই সমীকরণ যদি এবারও প্রয়োগ করা হয় তবে আখেরে সুবিধা হবে বিজেপিরই।