কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী শোভা করন্দলাজের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য কর্ণাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ নিয়ে তামিলনাড়ুকে জড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই আবহে তামিলনাড়ুতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে চারটি এফআইআর। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থমার নাম নেই। এদিকে মন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনাকে দায়সারা উল্লেখ করে পালটা তোপ দেগেছে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। (আরও পড়ুন: আর ২-১০ টাকা কমানো হবে না, কিছুদিন পর এই রাজ্যে ৭৫ টাকা করা হবে পেট্রোলের দাম!)
আরও পড়ুন: 'সৌরভ আমাকে বলেন…', বাংলায় পা ইউসুফ পাঠানের, অধীরের তুলনা কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে?
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ নিয়ে গত ১৯ মার্চ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরণ ইস্যুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তামিলনাড়ু থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত। এরপরে অবশ্য বিতর্কের মাঝে রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষমা চান তিনি। তামিলদের 'ভাই-বোন' বলে সম্বোধন করেন। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন শোভা। এই আবহে ডিএমকে পালটা অভিযোগ করে, অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। এই সবের মাঝে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়ে অভিযোগ। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। অপরদিকে মাদুরাইতে পুলিশ চারটি অভিযোগ দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে বৈঠক, শুভেন্দুর হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে BJP-তে যোগ রাজবধূর)
আরও পড়ুন: 'কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে', বলল IMF, এবার কি ঝনঝনিয়ে উঠবে পাকিস্তান 'ভিক্ষাপাত্র'?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী এমন বলেছিলেন যা ঘিরে এত বিতর্ক? শোভা করন্দলাজে বলেছিলেন, 'পুলিশ বলেছিল যে আমরা নমাজ শেষ হলে তবেই যেতে পারব... আমি সিদ্দারামাইয়াকে জিজ্ঞেস করতে চাই এখানে কার সরকার চলছে। হিন্দুরা কি আপনাকে ভোট দেয়নি?... এখানে প্রতিনিয়ত হিন্দুদের অপমান চলছে। এক ব্যক্তি তামিলনাড়ু থেকে এসে একটি ক্যাফেতে বোমা পুঁতেছে। আরেক ব্যক্তি দিল্লি থেকে এসে বিধান সৌধে পাক-পন্থী স্লোগান দিচ্ছেন। অন্য একজন কেরল থেকে এসে কলেজ ছাত্রদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করছে। দোকানে হনুমান চালিসা শুনছিল বলে মারধর করা হচ্ছে। আমি এইমাত্র একটি ভিডিও দেখলাম যেখানে তারা আরটি নগরে খোলা তলোয়ার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনও ব্যবস্থা নেই। এই সরকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করছে এবং এটি হিন্দু বিরোধী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ এবং আমরা কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের পদত্যাগ দাবি করছি... আমরা লড়াই চালিয়ে যাব...।'
আরও পড়ুন: অফসাইটে ৭-৮% বেতন বাড়াবে ভারতের এই আইটি সংস্থা, কপাল পুড়বে অনসাইট কর্মীদের
পরে ক্ষমা চেয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় বলেন, 'আমার তামিল ভাই-বোনেদের উদ্দেশে, আমি স্পষ্ট করতে চাই, আমি বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করার জন্যই ওই মন্তব্য করেছিলাম, ছায়া ফেলার জন্যে নয়। তবুও আমি দেখতে পাচ্ছি যে আমার মন্তব্য কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে - এবং তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মন্তব্য শুধুমাত্র রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে নিয়ে ছিল। তারে কৃষ্ণগিরি বনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তামিলনাড়ুতে যারা আমার এই মন্তব্যে কষ্ট পেয়েছেন, আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আমি তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উপরন্তু, আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।'