আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ৭ দফার ভোট শেষ হবে ১ জুন। বছরের এই সময়ে থাকে চাঁদিফাটা রোদ। তা সত্ত্বেও সেই প্রখর রোদের মধ্যেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন ভোটাররা। এই অবস্থায় অতিরিক্ত গরমে ভোট দিতে গিয়ে যাতে ভোটাদের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বুথে বুথে বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও, শিশু কোলে নিয়ে ভোট দিতে যাওয়া মায়েদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেছে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনে কালো টাকা রুখতে উদ্যোগ, অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি কমিশনের
গ্রীষ্মের কড়া রোদে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে ভোটারদের সুবিধার্থে বুথে বুথে জলের ব্যবস্থা করতে বলেছেন নির্বাচন কমিশন। তার সঙ্গে জল খাওয়ার জন্য গ্লাস রাখতে হবে। গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যাতে কোনও ভোটার অসুস্থ হয়ে না পড়েন সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে ভোটকেন্দ্র সব সময় স্কুল বা কলেজের নিচে তলায় করতে হবে।
তাছাড়া ভোটারদের বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব সর্বাধিক কতটা হতে পারে সেবিষয়টিও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, ভোটারদের বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। তবে পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে সেই দূরত্বের পার্থক্য হতে পারে।
এর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী, অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ভোট কেন্দ্রে বসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রোদে ভোটারদের দাঁড়িয়ে থাকতে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য ভোটারদের মাথার উপরে অস্থায়ী ছাউনি করতে বলা হয়েছে। মায়েরা শিশু কোলে নিয়ে ভোট দিতে গেলে শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি কেন্দ্রে একজন করে স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।
অন্যদিকে, গ্রীষ্মের প্রখর রোদে সানস্ট্রোক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সেরকম কিছু হলে ভোটারকে দ্রুত ভোট কেন্দ্রের ঠান্ডা জায়গায় শুইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ওআরএসের মতো পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সে ক্ষেত্রে তাকে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করতে হবে আধিকারিকদের।
এসবের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের যাতে কোনও রকমের সমস্যা না হয় সে বিষয়টির উপরে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।