Electoral Bond Case in SC: নির্বাচনী বন্ডের ইউনিক নম্বর কেন দেয়নি SBI, প্রশ্ন SC-র, ফের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ Updated: 15 Mar 2024, 11:29 AM IST Abhijit Chowdhury সুপ্রিম নির্দেশ মতো বন্ড বিক্রির তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছিল এসবিআই। তা প্রকাশও করে কমিশন। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই তালিকায় সন্তুষ্ট নয়। কারণ সেখানে বন্ডের ইউনিক নম্বর দেওয়া নেই। উল্লেখ্য, ইউনিক নম্বর দিয়ে বোঝা যাবে কোন সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে ডোনেশন বন্ড দিয়েছে। 1/5 এসবিআইকে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রকাশের দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই আবহে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করে এসবিআই জানিয়েছিল, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ভাঙিয়ে চাঁদা তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর বাকি বন্ডগুলির টাকা জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এই বন্ডের যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিয়ে তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদাল। 2/5 এই আবহে গতকাল জানা যায়, এসবিআই-এর থেকে পাওয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই তালিকায় সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদলত। এই আবহে এসবিআই-কে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ বলে, আগের নির্দেশে এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে কে, কবে কত টাকার বন্ড কিনেছিল, এবং সেই বন্ড কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, তা প্রকাশ করতে হবে। সেই সংক্রান্ত তথ্য বিশদে দেওয়া হয়নি। এই আবহে ১৮ মার্চের মধ্যে এসবিআই-এর থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের কথায়, ঠিক ভাবে নির্দেশ মানেনি এসবিআই। এই আবহে ফের সঠিক ভাবে এই তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। 3/5 উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। এই আবহে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য জমা করতে নির্দেশ করা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে। তবে এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল দেশে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। তবে শেষ পর্যন্ত এসবিআই-এর সেই আবেদন খারিজ করে ১২ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। 4/5 প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। এই আবহে আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের বিষয়ে জানার অধিকার নেই আম নাগরিকের। 5/5 উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছিল দেশে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। তবে মামলা শেষে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায়তে জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে টাকা তুলছে, তা আদতে অসাংবিধানিক।