জয়ন্ত রায়। জলপাইগুড়ি লোকসভা আসন থেকে এবারের বিজেপি প্রার্থী তিনি। মোটামুটি নির্বিঘ্নে ভোট মিটেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জয়ন্ত রায় কি নিজে ভোট দিয়েছেন?
সূত্রের খবর, জয়ন্ত রায় নিজেই ভোট দিতে পারেননি বলে খবর। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটেও তিনি ভোট দিতে পারেননি। আসলে মূল বিষয়টি হল তিনি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ালেও তিনি পাশের লোকসভা কেন্দ্র দার্জিলিংয়ের ভোটার। সেকারণে তিনি যে কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন সেখানেই ভোট দিতে পারলেন না।
জলপাইগুড়িতে ভোটের দিন কার্যত এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় চষে বেরিয়েছেন তিনি। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমি নিজের ভোটটাই দিতে পারিনি। এটা খুব যন্ত্রণার।
এদিকে এবার কি জয়ন্ত রায় তাঁর আসন ধরে রাখতে পারবেন? এনিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছে এলাকায়। তবে জয়ন্ত রায় নিজে অবশ্য় জানিয়েছেন, আমার জেতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ জলপাইগুড়ির মানুষের বিজেপির প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রয়েছে।
এদিকে অনেকের মতে, এবার মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ছিল জলপাইগুড়ির ভোট। বড় কোনও অশান্তির ঘটনা হয়নি। এনিয়ে জয়ন্ত রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কিছু জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস ভোটারদের ভয় দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু জলপাইগুড়ির মানুষ আমাদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য় একেবারে মুখিয়ে ছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। তাঁর মতে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে উত্তরবঙ্গে প্রথম দফায় যে তিন কেন্দ্রে ভোট হয়েছে তার মধ্য়ে কার্যত ভোটদানের নিরিখে একেবারে প্রথমে রয়েছে জলপাইগুড়ি। ভোটদানের দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে পড়েছিল ৭৭.৫৭ শতাংশ। কোচবিহারে ভোট পড়েছিল ৭৭.৭৩ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছিল ৭৫.৫৪ শতাংশ। জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছিল ৭৯.৩৩ শতাংশ।
এদিকে এবার ভোটপর্বে যথেষ্ট চাপের মধ্য়ে থাকতে হয়েছিল জয়ন্ত কুমার রায়কে। তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পোস্টারও পড়েছিল এলাকায়। ‘সন্ধান চাই! সন্ধান চাই! নিখোঁজ জয়ন্তকুমার রায়’। এভাবেই পোস্টার পড়েছিল ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায়। ময়নাগুড়ির হাতিরবাড়ি, বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা, দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহরের শান্তিপাড়া, নীচমাঠ রাস্তার পাশে, বিদ্যুতের খুঁটিতে এই পোস্টার দেখা গিয়েছিল। সেই পোস্টারে লেখা ছিল, শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালের ২৯ মে। লাটাগুড়িতে। পরনে গেরুয়া কুর্তা এবং কালো ফ্রেমের চশমা।