লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই মহুয়া মৈত্রকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে আগামিকাল (বৃহস্পতিবার তথা ২৮ মার্চ) ফেমা আইনে তাঁকে তলব করা হয়েছে। তবে শুধু মহুয়া নন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর কৃষ্ণনগরের ৪৯ বছরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়াকে আগেও সেই মামলায় তলব করা হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে ফের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
সেই মহুয়াকে তলবের বিষয়টা যখন সামনে এল, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই কৃষ্ণনগরে মহুয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সেই কথোপকথনের মধ্যেই কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'মানুষকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে মহুয়া মৈত্রের কী হবে? (মানুষ বলেন) যে ওঁকে জেলে যেতে হবে।' আর 'রানিমা'-র মুখে সেই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী হেসে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘লোকে এরকম কথা বলেন?’ তাতে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘হ্যাঁ।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রে BJP এলেই ঘুষের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা হবে, অমৃতা রায়কে ফোনে বললেন মোদী
উল্লেখ্য, টাকা নিয়ে লোকসভা প্রশ্ন করার মামলার প্রেক্ষিতে গত শনিবার আলিপুর, করিমগঞ্জ, কৃষ্ণনগর-সহ মহুয়ার একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যে অভিযোগ তুলেছিলেন মহুয়ার বিরুদ্ধে, সেটার প্রেক্ষিতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দুবে অভিযোগ করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানিকে বিপাকে ফেলার জন্য হিরানন্দানির থেকে টাকা এবং উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। সূত্রের খবর, সেই মামলায় ইডির স্ক্যানারে আছে একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটার্নাল অ্যাকাউন্ট। আরও একাধিক লেনদেনও ইডির স্ক্যানারে আছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহুয়া। তাঁর দাবি, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় তাঁকে নিশানা করছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। আর সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে মহুয়ার পাশেই আছে দল। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মমতা।