লোকসভা নির্বাচনের মরশুম এখন চলছে। উচ্চগ্রামে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে ঝাঁপিয়ে প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে তুলোধনা করা হচ্ছে। বিজেপিও পাল্টা প্রচারে সোচ্চার হচ্ছে। এই আবহে এবার বাংলা থেকে বিজেপি পার্টিটাকেই তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিজেপির ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। আর তা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
আজ, বুধবার মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী সভা থেকে অভিষেক একদিকে যেমন কংগ্রেস ও সিপিএমকে তুলোধনা করেছেন তেমনই বিজেপি বিধায়করা যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে বলে বড় দাবি করেন। অভিষেক দাবি করেন, বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এটাই স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির। অভিষেক আজ বলেন, ‘বিজেপির এখনও ১০ জন এমএলএ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সঠিক সময়ে দরজা খুলব। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি দলটাকে বাংলা থেকে তুলে দেব।’
আরও পড়ুন: বক্তব্য রাখার সময় সভামঞ্চেই জ্ঞান হারালেন নীতীন গড়কড়ি, মহারাষ্ট্রে তোলপাড় ঘটনা
একুশের নির্বাচনের পর বহু বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের অনেকেই নানা পদে আছেন এখন। এমনকী কেউ কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার মুখে তৃণমূল কংগ্রেসে আরও বিজেপি বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন বলে চাপ বাড়িয়েছেন অভিষেক। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় বিজেপিতে গিয়েছেন। এখন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। এই বিষয়ে আজ অভিষেক অভিযোগ করেন, ‘ইডির ভয় দেখিয়ে তাপস রায়কে জোর করে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছে। আসলে প্রার্থী নেই তো। তৃণমূল থেকে নিয়ে প্রার্থী করছে।’
তবে এই ঘটনার পর অভিষেকও যে ধাক্কা দিয়েছেন বিজেপিকে সে কথা নিজে মুখেই বললেন তিনি। অভিষেকের কথায়, ‘আমি সঙ্গে সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওদের একজন এমএলএ–কে ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এনেছি। আর এখন বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চাইছেন। বিজেপির যত রাগ তো তাই আমার ওপর। বিচারব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে গত ৩–৪ বছর ধরে আমার মা, বাবা, স্ত্রী কাউকে ছাড়েনি। তবু মাথানত করিনি। আরে গলা টিপে দিলেও মাথানত করব না। দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না। মাথানত করতে হলে মানুষের কাছে মাথানত করব।’ কিন্তু এই ১০ জন বিধায়ক কারা? উঠছে প্রশ্ন।