বিজেপি ভোট চুরি করতে গিয়েছিল। আর ধরাও পড়েছে। ভাতারের ভরা নির্বাচনী সভা থেকে বড় তথ্য দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই সভা থেকে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ, মঙ্গলবার এই নতুন তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতি আঙিনায়। ভাতারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিয়ে সবার সামনে বিজেপির চুরির তথ্য ফাঁস করে দিলেন। আর তাতেই আওয়াজ উঠল, অলিগলি মে শোর হ্যায় বিজেপি চোর হ্যায়। স্লোগান দিয়ে সবাই বললেন, আর নেই দরকার বিজেপি সরকার।
এদিকে বিজেপির চুরির তথ্য ফাঁস করলেও তা নিয়ে এখনও গেরুয়া শিবির থেকে কেউ প্রতিক্রিয়া দেননি। আজ ভাতারের সভা থেকে কীতি আজাদকে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ভোট হচ্ছে দিল্লির নির্বাচন। আমাকে বিজেপির কেউ কেউ বলছে কি করেছে কৈফিয়ত দাও। বিজেপি না করলে অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। এনআরসি, সিএএ করা হবে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড করা হবে। সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমাদের সংবিধান আমাদের সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। আজকে দেশের সংবিধান ছিন্ন ভিন্ন করতে চাইছে। তাই বিজেপিকে ভোট দেবেন না। তাহলে সব অধিকার হরণ করবে।’
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বৈতরণী পার করার দায়িত্বে পিজে, কে এই তরুণ তুর্কি?
অন্যদিকে আজ যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সভা করলেন সেখানে বিজেপি প্রার্থীর নাম দিলীপ ঘোষ। যিনি বারবার কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। এমনকী তার জন্য নির্বাচন কমিশন তাঁকে সেন্সরও করেছিল। কিন্তু আজও মুখ্যমন্ত্রীকে জলে ডুবে মরতে বলেছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘বিজেপির যে প্রার্থী এখানে দাঁড়িয়েছেন তার মুখের ভাষা শুনেছেন? পেটান ,মারুন। আর একজন খালি বোমা মারে, রাম রাম করে। আপনারা জানেন রেশনের সব টাকাই কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ছিল। কোভিডের সময় মনে আছে, ছোলা খাইয়েছিল। রেশনে ৯ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হয়। কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৭ হাজার কোটি টাকা। তাহলে সংখ্যাটা কত হল? ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত দু’বছর ধরে ১২ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দেয়নি।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির চুরির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। ৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে ১০০ দিনের টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৪৩ লক্ষ মানুষকে বাড়ি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা বাংলায় এলেও টাকা দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘নির্বাচনের আগে চালাকি করে বিজেপির কল সেন্টার থেকে ফোন করছিল। ফোন করে বলছে, আপকো ঘর চাহিয়ে? দরখাস্ত করুন। ডিসেম্বর এই আবাসের টাকা দেবে রাজ্য প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার, পরের কিস্তিতে ৬০,০০০ টাকা। ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেবেন বলেছিলেন। একটা লোককেও চাকরি দেননি। আজকে ভারতবর্ষে বেকারের সংখ্যা সব থেকে বেশি। আমরা যখন বাংলায় চাকরি দিয়ে আপনারা কোটকে দিয়ে চাকরি খেয়ে নেন। রাতের বেলায় সিসিটিভি অফ করে ভোট চুরি করতে গিয়েছিল। কোচবিহারে আমাদের লোকেরা ধরেছে। পুরো দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। এরা শুধু পকেটমার, লুঠেরা নয়। অলিগলি মে শোর হ্যায় বিজেপি চোর হ্যায়। তাই বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও।’