কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে সমাজ সংস্কারক বলে উল্লেখ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এব্যাপারে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: প্রচারের ব্যস্ত, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের রানিমা তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কথপোকথনের সময় তিনি বলেন, ‘বাংলার সমাজ সংস্কারে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অবদানের কথা আমরা ছোটবেলায় বইতে পড়েছি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার মহুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, উনি কি রাজা রামমোহন রায়ের সমাজ সংস্কারের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলেছেন? বাজে হোম ওয়ার্ক স্যার। একথা লিখে প্রধামন্ত্রীর অডিয়ো ক্লিপের অংশও প্রকাশ করেছেন তিনি।
মহুয়ার আশঙ্কা যে অমূলক নয় তা মেনে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন ইতিহাসবিদ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সমাজ সংস্কারক ছিলেন এমন কথা জানা যায় না। বাঙালিই যখন সেকথা জানতে পারল না সুদূর গুজরাতে বলে ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে সে কথা প্রধানমন্ত্রী পড়ে ফেললেন কী করে?
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করতেই রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে ব্রিটিশকে সহযোগিতার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, নবাব সিরাজ উদ দৌল্লার বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সহযোগিতা করেছিলেন জগৎ শেঠ, মিরজাফর ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। তাঁদের বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই বাংলা দখল করতে পারে ব্রিটিশ আক্রমণকরীরা। পালটা রানিমার যুক্তি, স্বৈরাচারী নবাব সিরাজের হাত থেকে হিন্দু প্রজাদের বাঁচাতে ব্রিটিশকে সমর্থন করা ছাড়া উপায় ছিল না কৃষ্ণচন্দ্রের।