ডুয়ার্স জুড়ে ভোটের হাওয়া। একসময়ে বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই চা বাগান। এখনও কিছু জায়গায় রয়েছে আরএসপির কিছু প্রভাব। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃণমূল আর বিজেপির প্রভাব। সেই সঙ্গেই রাজনীতির প্রভাব ছাড়াই বেড়ে ওঠা কিছু শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবও রয়েছে। মাঝেমধ্যে প্রচারে আসছেন নেতারা। তবে যে চাবাগানগুলি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে উত্তরবঙ্গে সেখানে ভোটকে ঘিরে একেবারেই নিরুত্তাপ শ্রমিকরা।
আসলে ভোট এসেছে ভোটের নিয়মেই। কিন্তু কেমন আছেন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা? দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ঢেকালাপাড়া চা বাগানে সেই শ্রমিকদের খোঁজ নিল HT Bangla। দিনের পর দিন বন্ধ রয়েছে বাগান। জমাট বাঁধা অন্ধকার যেন চেপে বসেছে গোটা চা মহল্লায়। অনেকেই ভিনরাজ্যে কাজে চলে গিয়েছেন। আর বাকি যাঁরা থেকে গিয়েছেন তাঁরা রোজ লড়াই করছেন সীমাহীন দারিদ্রের সঙ্গে।
দিনের পর দিন ধরে বন্ধ একাধিক চা বাগান। তবে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ ফাউলাই বা বিশেষ ভাতা থাকার জন্য কিছুটা হলেও রক্ষার। সেই সঙ্গেই সরকারি রেশনের সুবিধা পান শ্রমিকরা। এতে কোনও রকমে দিন চলে যায়।
তবে দিনের পর দিন ধরে বাগান খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন শ্রমিকরা। কিন্তু বাস্তবে নানা জটিলতায় ভুগছে এই বাগান। ওএমসির মাধ্য়মে বাগান চালানোর চেষ্টাও চলছে। আবার কিছুক্ষেত্রে সমবায়ের মাধ্য়মে বাগান চালানো যায় কি না তার চিন্তাভাবনা চলছে।
ঢেকলাপাড়া চা বাগান। ২০০২ সাল থেকে বন্ধ এই বাগান। শ্রমিক মহল্লায় ঘুরলেই বোঝা যাচ্ছে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি! হাতে কাজ নেই। অপুষ্টিতে ভুগছেন শ্রমিকদের অনেকেই। সরকারি যে যৎসামান্য সহায়তা রয়েছে তাতে পেট চলে না সকলের। সেক্ষেত্রে অনেকেই বাধ্য় হয়ে ভিন রাজ্যে কাজে চলে গিয়েছেন।
একের পর এক জীর্ণ কোয়ার্টার। প্রায় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।মাঝেমধ্যে জঙ্গল থেকে হাতির দল বেরিয়ে পড়ে। হাতি ভেঙে দিয়ে যায় ঘর। এরপর সেই ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক বনদফতরের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তারপর?
শ্রমিকদের একাংশের দাবি, একে তো চা বাগান বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি একেবারে ভয়াবহ। আবার সেই সঙ্গে হাতির অত্যাচার। কিন্তু হাতি ঘর ভেঙে যাওয়ার পরে বনদফতরের কাছেও যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘর জোটেনি বলে শ্রমিকদের দাবি। কিছু চাল সহায়তা করেছিল। এক শ্রমিকের দাবি, একটা ত্রিপলও জোটেনি। খাবারও জোটে না ভালো করে আজ।