মঞ্জিরী চিত্রে
রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমারকে নির্বাচন কমিশন অপসারণ করায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিজেপি নির্বাচন কমিশন-সহ বিভিন্ন সংগঠনকে দখল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে তারা। এক্ষেত্রেও লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর... আজ আমরা যা দেখলাম, তা বিজেপির প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, ওরা জানে লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ আসনে বিজেপি পরাজিত হবে। তাদের সংগঠন খুবই দুর্বল, খুবই দুর্বল। আমরা নিশ্চিত যে বিজেপি কয়েকজন অফিসারকে বদলি করতে পারে, কিন্তু জনগণ তৃণমূল কংগ্রেস এবং দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে রয়েছে। তৃণমূল ফের বিজেপিকে হারাবে।
নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্য়ের ডিজিপিকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। ভোটের কোনও কাজে আর তিনি থাকতে পারবেন না। এদিকে
মনোজ মালব্যের অবসরের পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ডিজিপি পদে নিয়োগ পাওয়া কুমার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ২০১৯ সালে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট ও তল্লাশির অভিযোগ আনার পর মুখ্যমন্ত্রী দু'দিনের ধর্নাতেও বসেছিলেন। সেই রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল কমিশন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতে রাজীব কুমার সম্পর্কে কিছুটা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কুণাল ঘোষই। আর এখন সেই রাজীব কুমারকে সরানোর পরেই কুণালের গলায় অন্য় সুর।
তবে শুধু বাংলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড- এই ছয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবদের অপসারণের পাশাপাশি বৃহৎ মুম্বই পৌর কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনার এবং ডেপুটি কমিশনারদের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন মিজোরাম ও হিমাচল প্রদেশের সাধারণ প্রশাসনিক বিভাগের সচিবদেরও অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে।