সামনেই লোকসভা ভোট। আর তার আগে নির্বাচনী সভা থেকে একের পর এক গুগলি দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্গত কুলপিতে সভা। সেই সভা থেকে এবার বিজেপির জন্য বিরাট টিপস দিলেন অভিষেক। আর অভিষেকের এই পরামর্শ শুনে কার্যত অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে।
ভোট দোরগোড়ায়। এখনও চার কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে তার মধ্য়েই এবার ওই চার কেন্দ্র নিয়ে বড় পরামর্শ দিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, বিজেপি ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থী পাচ্ছে না। চারটি কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। আমি বলব, মেঘের আড়াল থেকে খেলে লাভ নেই। ইডি, সিবিআই, এনআইএ, ইনকামট্যাক্সের ডিরেক্টরদের ওই চার কেন্দ্রে প্রার্থী করে দিন। ওঁরা অনেক তল্পিবাহকতা করেছেন। মেঘনাদের মতো মেঘের আড়ালে না থেকে এবার আসুন জনতার দরবারে। লড়়াই হোক। একেবারে খোলা চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক।
বীরভূম, আসানসোল, ঝাড়গ্রাম আর ডায়মন্ডহারবার। এই চার কেন্দ্রে সন্ধ্য়া পর্যন্ত প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। তবে রাতে বীরভূম ও ঝাড়গ্রামের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। বাকি দুই আসনে কারা হবেন প্রার্থী তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। আসানসোলে নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা দানা বাঁধেনি। অনেকেরই প্রশ্ন এরপর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলে তিনি কতটা প্রচার করার সময় পাবেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গেই ডায়মন্ডহারবারে ঠিক কোন অঙ্কে খেলতে চাইছে বিজেপি সেটা নিয়েও প্রশ্ন। নাকি কঠিন লড়াইতে যাতে ভোট ভাগাভাগি না হয় তার জন্যই এত অঙ্ক কষা চলছে?
এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিঁধে একের পর এক তোপ দেগেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, বিজেপি প্রার্থীকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী বলছেন ইডি যে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তা মানুষের মধ্য়ে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একই কথা তিনি বলেছেন তামিলনাড়ুর এক প্রার্থীকে। আবার একটা ভোট এসেছে। আবার একটা জুমলা নিয়ে হাজির হয়েছে। সারদার তদন্ত তো কবে থেকে করছে। একটা টাকাও ফেরত দিয়েছে?
সেই সঙ্গেই অভিষেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের হাতজোড় করে অনুরোধ করছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করতে হবে না ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিয়ে দেবেন। আপনারা ১০০০ টাকার গ্যাস বিনামূল্যে দিয়ে দেখান। যেদিন কেন্দ্র এনিয়ে বিজ্ঞ্প্তি দেবে যে আগামী ৫ বছরের জন্য রান্নার গ্যাস ফ্রি সেদিন থেকে ৪২ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী আমি তুলে নেব। তাঁর কথায় পারলে খালি ১০০০ টাকার গ্যাসটা ফ্রি করে দিন, আমি ৪২ আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেব। আর একথা শুনে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কর্মসংস্থান আছে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিশেষ প্রয়োজন হয় না।