নানা সময়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এবার তাঁর নয়া চ্যালেঞ্জ। ৪২ আসন থেকেই প্রার্থী তুলে নেব। কিন্তু কেন আচমকা এই সব চ্য়ালেঞ্জ করে বসছেন অভিষেক?
কুলপির জনসভা থেকে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন অভিষেক। অভিষেক বলেন, বিজেপি এককভাবে বা তাদের শরিকরা সব মিলিয়ে ১৭টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তার মধ্য়ে একটি রাজ্যেও লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। এখানেই শেষ নয়, তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা ছেড়ে দিন শুধু রান্নার গ্যাস বিনামূল্যে বিজেপি করে দিক। তাহলে তিনি লোকসভা ভোটে ৪২ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী তুলে নেবেন। কার্যত ভোটপর্বে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক। এদিকে অভিষেকের এই বক্তব্য শুনে সভাস্থলে বিরাট হাততালি পড়ে।
অভিষেক বলেন, গত ১০ বছর ধরে বাংলাকে বঞ্চিত নিপীড়িত করে রেখেছে বিজেপি। একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনার টাকা কেড়ে নিয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আপনাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন। কার গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করবেন?
সেই সঙ্গেই অভিষেকের নয়া হুঁশিয়ারি, বিজেপি নেতারা বলছেন ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার করে দেবেন। তাও আবার ৩০০০ টাকা করে। আপনারা দেশের ১৭টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছেন। একক অথবা শরিকদলের হিসাবে। এর মধ্য়ে একটি রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে দেখান। ৩০০০ টাকা নয়, ১৫০০ টাকা করে দেখান। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।
এখানেই শেষ নয়, অভিষেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের হাতজোড় করে অনুরোধ করছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করতে হবে না ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দিয়ে দেবেন। আপনারা ১০০০ টাকার গ্যাস বিনামূল্যে দিয়ে দেখান। যেদিন কেন্দ্র এনিয়ে বিজ্ঞ্প্তি দেবে যে আগামী ৫ বছরের জন্য রান্নার গ্যাস ফ্রি সেদিন থেকে ৪২ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী আমি তুলে নেব। তাঁর কথায় পারলে খালি ১০০০ টাকার গ্যাসটা ফ্রি করে দিন, আমি ৪২ আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেব। আর একথা শুনে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কর্মসংস্থান আছে। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
ভোটপর্ব মাঝপথে। সেই সময় একেবারে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ কি আদৌ মানতে পারবে বিজেপি? এতবড় সুযোগ কি হাতছাড়া করবে গেরুয়া শিবির?