গত ৮ এপ্রিল দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর থেকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর অভিষেক দাবি করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য শুনে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারকে এই ঘটনায় ক্লিনচিটও দেন অভিষেক। তিনি জানান, প্রশাসন এখন কমিশনের হাতে। তাই মোদী-শাহের সরকারের দোষ এটা নয়। তবে কমিশন এখন 'বিজেপির পকেটে'। এই সব বিতর্কের মাঝে ফের একবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ অভিষেক। এবার বোসকে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের সেনাপতি। (আরও পড়ুন: তরুণীকে চুমুর পর এবার পালা যুবকের, বিতর্কে জল ঢালতে 'নয়া কীর্তি' বিজেপির খগেনের)
আরও পড়ুন: 'বিধবার যন্ত্রণা…', খুশির দিনে বিষাদের সুর, মতুয়াগড় ছেড়ে কোথায় গেলেন মমতাবালা?
জানা গিয়েছে, চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা চারটি এজেন্সির বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অভিযগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সেই চিঠিতে এনআইএ-র এসপির সঙ্গে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেছেন অভিষেক। এদিকে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্টের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু কার্যকলাপে তৃণমূল আপত্তি তুলেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে অভিষেকের লেখা চিঠিতে।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে সোমবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যায় তৃণমূলের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তাঁরা ফুল বেঞ্চের সঙ্গেই দেখা করে। সেই সাক্ষাতের পরে কমিশনের অফিসের সামনে ২৪ ঘণ্টার ধরনায় বসেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের সরে যেতে বলেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি তৃণমূল নেতারা। তারপর তাঁদের টেনেহিঁচড়ে বাসে তোলা হয়। সেই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন অভিষেক। প্রায় ৪৫ মিনিট বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেকরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে কমিশনের বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি অভিযোগ করেন যে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে নিয়োগ করেছে বিজেপি। আর এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি লিখিত অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন অভিষেক।