অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন অর্জনের পাশাপাশি দেশের টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নের জন্য ভোটার বা নির্বাচনী প্রতিযোগী হিসাবে নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে ১৭তম লোকসভা নির্বাচন।একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পুরুষ ও মহিলা ভোটারদের মধ্যে ঐতিহাসিক যে ব্যবধান ছিল তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে ১৯ কোটি ছিলেন মহিলা। এসবিআই রিসার্চের শেয়ার করা সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ২৬ কোটি মহিলা সহ মোট ভোটা ছিল ৫৫ কোটি এবং ২০১৯ সালে ৩০ কোটি মহিলা সহ মোট ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২ কোটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ কোটি নারী অংশগ্রহণকারীসহ ৬৮ কোটি ভোটারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনীগুলিতে পুরুষ ও নারী ভোটারদের মধ্যে ব্যবধান উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ওই সংখ্যক ভোটার অংশ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন। মিশন সম্পূর্ণ করতে প্রার্থীদের চিঠি লিখলেন মোদী, এল চমকে দেওয়া বার্তা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০২৯ সালে দেশজুড়ে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যা ভাবে বাড়বে।
২০২৯ সালে ভোটদানের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৭৩ কোটি ছুঁতে পারে, যার মধ্যে ৩৭ কোটিতে পৌঁছবে মহিলা ভোটার যা কিনা নিবন্ধিত ৩৬ কোটি পুরুষ ভোটাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
২০৪৭ সালে (সম্ভাব্য নির্বাচনী বছর ২০৪৯) প্রায় ১১৫ কোটি মানুষ পুরুষ ও মহিলার প্রায় সমান অনুপাত সহ নিবন্ধিত ভোটার হবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে, একই বছরে মহিলা ভোটার উপস্থিতি ৫৫% পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং পুরুষদের অংশ ৪৫% এ নেমে আসতে পারে।
আরও পড়ুন। এবার বেশ কম আসনে লড়ছে কংগ্রেস, কৌশল কি কাজে লাগবে?
২০৪৭ সালে, ভোটদানের হার হবে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৯২ কোটি মানুষ। ভোটারদের ভোটদানে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অংশগ্রহণ বেশি হবে, যার মধ্যে ৫০.৬ কোটি মহিলা এবং ৪১.৪ কোটি পুরুষ ভারতে নির্বাচনী অংশগ্রহণের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক মহিলা প্রার্থী দিয়েছে (৩২.২ শতাংশ), তারপরে ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (৩১.৬%)।
আরও পড়ুন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে 'হিংসার' কথা! অভিযোগ তুলে কমিশনে BJP, কী বলেছিলেন মমতা?