সবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই জেলায় জেলায় অশান্তি। অনেকের মনেই ২০১৮ সালের সেই ভয়াবহ অশান্তির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম পর্যায় থেকেই রাজ্যে চলে আসছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।। স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছে মানবাধিকার কমিশন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণত দেখা যায় অন্যান্য ক্ষেত্রে কোথাও ঘটনা ঘটার পরে সেখানে যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু এবার একেবারে আগেভাগেই চলে আসছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবিধার কমিশনের ডিজি মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজ্য়ে নিয়োজিত হচ্ছেন। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করে যাবে।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ের একেবারে প্রথম পর্ব থেকেই যে বাংলায় অশান্তির আঁচ শুরু হয়েছে সেই খবর গিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে। এরপরই এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ। মূলত এখনও পর্যন্ত যে অশান্তির ঘটনা হয়েছে তারই বিবরণ চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্য উভয়কেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অন্য়দিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও শান্তির বার্তা দিয়েছেন। অশান্তি রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি বার্তা দিয়েছেন।
এদিকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির সেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। তবে এবার মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্য়েই আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সোমবার থেকে একেবারে কড়া সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর,মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমির মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে। অশান্তি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। সোমবার থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হবে। মনোনয়নের সময় অশান্তি রুখতে এই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে ১ কিমি পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। সূত্রের খবর, মনোনয়ন কেন্দ্রের মধ্য়ে প্রার্থী সহ দলে দলে আর ঢোকা যাবে না। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও হিংসা না ছড়ায় সেকারণে এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বাইক নিয়ে মিছিল করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রচারের নামে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে সোমবার থেকে গোটা বাংলা জুড়ে কতটা শান্তি বজায় থাকে সেটাই এখন দেখার।