তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় এবার তারুণ্যের জোয়ার। আর বাদ বহু প্রবীণ। ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকিটই দেয়নি তৃণমূল। এমনকী ৫ জন মন্ত্রীরও ঠাঁই হয়নি প্রার্থীতালিকায়। এহেন বলিষ্ঠ পদক্ষেপে দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ।
বাদ পড়া মন্ত্রীদের মধ্যে সবার ওপরে নাম রয়েছে অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের। তিনি খড়দার বিধায়ক ছিলেন। তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় পুরপ্রধান কাজল সিং। অমিতবাবু বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। এমনকী ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভায় ভোট অন অ্যাকাউন্ট পড়তে পারেননি তিনি। যদিও বাড়ি বসে দলের হয়ে ফেসবুক লাইভ করেছেন তিনি।
এর পরই নাম রয়েছে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর। তাঁকে নন্দীগ্রামে তাঁর হয়ে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় রাজারহাট - গোপালপুরে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সি।
সিপিএম থেকে তৃণমূলে গিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু ভাঙড়ে আর টিকিট পেলেন না রাজ্যের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। তাঁর জায়গায় ভাঙড়ে টিকিট পেয়েছেন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যাওয়া আরেক নেতা রেজাউল করিম। পেশায় চিকিৎসক রেজাউল সাহেব টিকিট পেতেই ভাঙড়ে ক্ষেপে উঠেছেন আরাবুল ইসলামের সমর্থকরা।
প্রার্থীতালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তপন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বাচ্চুবাবুর বাড়ি দেখে তৃণমূল নেতাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন কল্পনা কিস্কু।
চাকদার বিদায়ী বিধায়ক, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিমন্ত্রী রত্না দে করও দলের টিকিট পাননি। তাঁর সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে শংকর সিংয়ের ছেলে শুভঙ্কর সিং।
এদিন প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময় মমতা জানিয়েছেন, প্রবীণরা যারা বয়সের কারণে বাদ পড়ছেন তাদের বিধান পরিষদ গঠন করে তার সদস্য করবে দল।