বছরখানেক আগে দেশের ‘গদ্দারদের’ গুলি মারার নিদান দিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল থেকে বাংলার ‘গদ্দারদের’ গুলি মারার স্লোগান উঠল। তবে বিশাল মিছিলে সার্বিকভাবে সেই স্লোগান দেওয়া হয়নি। মিছিলের একটি অংশ থেকে হিন্দিতে স্লোগান ওঠে।
সোমবার বিজেপির মিছিল থেকে যে ‘হিংসা’ ছড়িয়েছিল, তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার টালিগঞ্জ বড়সড় মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। তাতে নেতৃত্বে দেন মন্ত্রী অরূপ রায় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই মিছিলের একটি অংশ থেকেই স্লোগান ওঠে ‘বঙ্গাল কে গদ্দারো কো গুলি মারো…।’ হিন্দিতে সেই স্লোগান যাঁরা দেন, তাঁরা মিছিলের একেবারে শেষের দিকে ছিলেন। শোভন এবং অরূপদের থেকে তাঁরা অনেকটাই দূরে ছিলেন।
সেই স্লোগানের মন্তব্যের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, এরকম ভাষায় কথা বলা তৃণমূলের সংস্কৃতি। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কী অবস্থা, তা প্রমাণিত হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির নেতা তথা নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তো গত বছর শাহিনবাগ আন্দোলনেরও সময় এক কথা বলেছিলেন, তাহলে? তাতে ‘জাতীয়তাবাদী’ তাস খেলে শমীকের সাফাই, ‘আমাদের দল সেই মন্তব্যের সমর্থন করেনি। তবে উনি (অনুরাগ) আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই স্লোগান তুলেছিলেন। মঙ্গলবার আমরা যা শুনেছি, তাতে তৃণমূলের হিংসাত্মক সংস্কৃতি প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে বাড়তি বিতর্কে ঢুকতে রাজি নয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ওটাই কথা বলার ছন্দ, প্রচলিত কথায় বলা হয়েছে। এটা প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রাক্তন মদন মিত্র আবার বলেছেন, ‘গুলি মোটেও বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। তবে বাংলার মানুষ অবশ্যই বিজেপি নেতাদের মুখে চড়ের বর্ষণ ঘটাবেন।’