বার বার সেই একই অভিযোগ। জীবিত অবস্থাতেও যথাযথ চিকিৎসা মিলছে না। মৃত্যুর পরেও করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারে নানা টালবাহানা। এবার সেই হয়রানির অভিযোগ লেকটাউনের শ্রীপল্লিতে। রবিবার রাত ২টো নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় সুদিন মুখোপাধ্যায়ের। ৭৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। কিন্তু কোনও নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অক্সিজেনও যথাযথ সময় পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এরপর অক্সিজেন সহ অ্যাম্বুল্যান্স যখন আসে তখন সব শেষ। এরপর সোমবার দুপুর পর্যন্ত বাড়িতেই পড়ে থাকে দেহ। সৎকারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেও সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ।
মৃতের পরিজনদের দাবি, একজায়গায় ফোন করলে অন্য জায়গার নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কেউ সহায়তা করেনি। ১১ ঘণ্টা দেহ বাড়িতে পড়ে থাকে। থানা থেকে বলেছে মৃতদেহ তুলতে গেলে ১৫ হাজার টাকা লাগবে। এক প্রতিবেশী বলেন, স্বাস্থ্যদফতরের সব জায়গায় ফোন করেছি। ওরা অসহায়তা প্রকাশ করে। পুরসভা বলেছে কোভিড রোগী নিয়ে যেতে পারব না। পুলিশ বলেছে, একটাই মাত্র গাড়ি ছিল। সেটাও দুর্ঘটনায় পড়েছে। অন্য কোনও পরিকাঠামো নেই। মারাত্মক সমস্যায় পড়ে পরিবারটি। বিনা চিকিৎসায় মারা গেল মানুষটি। কোথায় সরকার? থানার সঙ্গে যে সংস্থা যুক্ত রয়েছে তারা বলছে ১৫ হাজার টাকা নেবে। এসব হয় নাকি? ওদের বাড়িতে তিন বছরের একটি বাচ্চা রয়েছে। কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।