নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনার তদন্তে নামলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। কী করে মুখ্যমন্ত্রী আহত হলেন তা জানতে ঘটনাস্থলের আশেপাসে থাকা দোকানমালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সঙ্গে সংগ্রহ করেন মোবাইল ফোন ও সিসিটিভির ফুটেজ। তবে এখনই নির্দিষ্টভাবে দুর্ঘটনার কারণ বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত – পা ও কাঁধে চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সেখানে কয়েকজন তাঁকে চক্রান্ত করে ধাক্কা দেয়। এমনকী ঘটনার সময় সেখানে কোনও পুলিশ ছিল না বলে দাবি তাঁর। তাঁর সঙ্গে পুলিশ সুপার হাজির ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার সকালে বিরুলিয়া বাজারে পৌঁছন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ, জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও DIG মেদিনীপুর রেঞ্জ কুণাল আগরওয়াল। যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তার সামনে নিমাই মাইতি নামে এক ব্যক্তির মিষ্টির দোকান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা।
এর পর পুলিশ সুপার জানান, ‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাক্রম জানার চেষ্টা করছি। তবে তখন এখানে এত ভিড় ছিল যে কেউই ঠিক মতো কিছু দেখতে পায়নি। আমরা ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। কিছুটা হাতে পেয়েও গিয়েছি। সেসব বিশ্লেষণ করলে কী করে ঘটনা ঘটল তা বলা যাবে। এখনই নির্দিষ্ট কারণ বলার মতো তথ্য হাতে নেই’।
দুর্ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। ওদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে একটি খুঁটি ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা ছিল খোলা। সেই খুঁটিতে বাড়ি খেয়ে সজোরে মুখ্যমন্ত্রীর গায়ে গিয়ে লাগে দরজাটি। তাতে তিনি আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা কেউ তাঁকে স্পর্শ করেনি।