'এখন তো সব ললিপপ চলছে। এই ললিপপ"। সোমবার জলপাইগুড়ির বেলাকোবায় বিজেপির সভামঞ্চ থেকেই সুর ধরলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্ত কী এই ললিপপ? মিঠুন বলেন, ‘বলছে নাকি বাড়ি বাড়ি রেশন পাঠিয়ে দেবে। তবে ৬ কোটি লোককে রেশন পৌঁছে দিতে ৬ কোটি লোকের দরকার হবে। এটা কি সম্ভব? আসলে এটা একটা ব্যবসা। এই পার্টিটা বিজনেস ছাড়া কিছু বোঝেনা। এরা প্লাস্টিক পর্যন্ত চুরি করে নেয়। প্রত্যেক মাসে এক কোটি টাকার ইনকাম। সেকারনেই এই ললিপপটা দেওয়া হয়েছে। রেশনের দোকানে যাবেন। বলবেন এক গ্রাম যদি কম হয় তবে ওপরে একটা নম্বর আছে, ফোন করব এমএলএ ফাটাকেষ্ট হাজির হয়ে যাবে। পরে কী হবে? ওই ছোবল, ছোবল’। তবে তিনি এদিন নাম না করেই হাত ঘুরিয়েই কার্যত দেখালেন গোখরো। তিনি বলেন,' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , কৈলাশজীও বলেছিলেন দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু আমি দাঁড়াইনি। আমি দাঁড়ানোর জন্য আসিনি। গরিব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য় এসেছি। এটা আমার ১৮ বছরের স্বপ্ন'। শীতলকুচিকাণ্ড নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘মায়ের কোল খালি হয়ে গিয়েছে। তবু ওদের সিংহাসন চাই’। এদিন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সুপেন রায়ের সমর্থনে বেলাকোবায় সভা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন মিঠুনের সভাকে ঘিরে সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। সভামঞ্চে ফিল্মি ডায়লগ শোনার জন্য শ্রোতাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তবে নির্বাচনী বিধিনিষেধের জেরে এদিন মিঠুন একাধিক ডায়ালগকে কাটছাঁট করেন।