এ একেবারে উলট পুরাণ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা অরূপ মিদ্যা।ভোটের দিন তাঁকেই দেখা গেল রাজ্য পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশাংসা পঞ্চমুখ তিনি। এদিন একেবারে আঙুল উঁচিয়ে তিনি বলেন.'ইলেকশন দেখাচ্ছেন নাকি? তিনদিন পর আমার সরকার আসবে। আর আপনাকে কাজ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ করছি। তখন দেখা যাবে আপনি কত বড় অফিসার আর আমি কত বড় নেতা।' এরপর তিনি বলেন,' ভোট তো একটা উৎসব। উৎসবে মানুষ শামিল হবে না? আপনারা এমন করছেন সবাইকে ভাগিয়ে দিচ্ছেন। এমন করছেন কেন? হোয়াট হ্যাপেন্ড। শীতলকুচি করার ইচ্ছা আছে?'
এরপর পুলিশ তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এই ধরনের কথা কেন বলছেন?’ এরপর তৃণমূল নেতার দাবি, 'আপনার যেমন লাইন আছে, আমারও লাইন আছে। আমি ঘরে জমায়েত করতে পারব না? মানুষকে মানুষ মনে করেন না। গরু ছাগল মনে করেন? খুব সাবধানে কথা বলবেন। একদম চমকাবেন না, ধমকাবেন না। আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন? ' তাৎপর্যপূর্ণ এতদিন বিরোধীদের মুখে এই ধরণের কথা শোনা যেত। কিন্তু ভোটের দিনে প্রতাপপুর ডাঙাপাড়া হাইস্কুলের বুথের কাছে খোদ তৃণমূল নেতার মুখেই শোনা গেল এই ধরনের কথা। সেটাও আবার রাজ্য পুলিশকে নিশানা করে।
তবে এব্যাপারে ওই তৃণমূল নেতা বলেন. ‘পুলিশকে কোনও হুমকি দিইনি। পুলিশ আমাদের হুমকি দিয়েছে। কথাকাটাকাটি হয়েছে পুলিশের সঙ্গে। ভোট দেখতে আসছে আমাদের ছেলেরা। এর চেয়ে সিআরপিএফের ব্যবহার ভালো। পশ্চিম বাংলার পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে। ’ অন্যদিকে পুলিশ আধিকারিকের পালটা দাবি, ‘২০০ মিটারের মধ্যে একটা দোকান ছিল। সেখানে জমায়েত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু উনি বলছেন উৎসব হচ্ছে।’